পাওনা চাইতে গিয়ে স্বামী খেলেন মার, ধর্ষণের শিকার স্ত্রী

ধর্ষণসাভারে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ইটভাটার এক শ্রমিককে মারধর করা হয়েছে। আর তার স্ত্রীকে কৌশলে ডেকে এনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে, আশুলিয়ায় এক কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজনকে আটক করা হয়েছে। দুই ঘটনায় সাভার মডেল ও আশুলিয়া থানায় দুটি মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার দু’জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (১১ জুলাই) সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ ও আশুলিয়া থানার ওসি রিজাউল হক দিপু এ তথ্য জানান।

এজাহার থেকে জানা গেছে, শুক্রবার (১০ জুলাই) দুপুরে সাভারের ভাকুর্তা মোগরাকান্দা এলাকায় একটি ইটভাটায় পাওনা বকেয়া মজুরির টাকা আনতে যান এক শ্রমিক। টাকা চাওয়ায় ইটভাটার শ্রমিকদের সরদার আলাউদ্দিন, তার দুই সহযোগী ওয়াহিদ ও শহিদ তাকে একটি বাগানে নিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করে। পরে জুয়েল নামে আলাউদ্দিনের আরেক সহযোগী কৌশলে ওই শ্রমিকের স্ত্রীকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন। পরে আলাউদ্দিন ও তার সঙ্গী শহিদুলের সহযোগিতায় ওয়াহিদ ও জুয়েল শ্রমিকের স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। 

এ ঘটনায় ইটভাটা শ্রমিকদের সরদার আলাউদ্দিন (৪০)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপর আসামি জুয়েল, ওয়াহিদ ও শহিদুল পলাতক। 

সাভার থানার ওসি সায়েদ জানান, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চার জনের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে।

অপরদিকে, আশুলিয়ায় নরসিংহপুর বুড়িরপাড় এলাকায় এক কিশোরী (১৪) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শুক্রবার রাতে ওই কিশোরী রাথরুমে যাওয়ার সময় বাইরে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা পোশাক কারখানার শ্রমিক রাসেল তাকে ধর্ষণ করে। 

আশুলিয়া থানার ওসি রিজাউল হক জানান, এ ঘটনায় মামলা করার পর রাসেলকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।