শুক্রবার (১৭ জুলাই) কাসেদ আলী খানের খামারে গিয়ে দেখা গেলো, উপজেলা প্রাণিসম্পদ চিকিৎসকদের পরামর্শে ‘কালাপাহাড়’কে খাবার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে ঘাস, ভুসি, ভুট্টার গুঁড়া, গমের গুঁড়া, কলাসহ বাড়িতে তৈরি খাবার।
খামারি কাসেদ আলী খান জানান, খামারে পালন করা একটি উন্নত জাতের শাহীওয়াল গাভীর পেটে জন্ম নেয় ‘কালাপাহাড়’। ছোটবেলা থেকে ষাঁড়টি তার মায়ের প্রতিদিন ২৫ লিটার দুধ খেত। একটানা দেড় বছর এভাবে দুধ খেয়েছে। পরে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে চার বছর ধরে ষাঁড়টিকে বিশাল আকৃতির করা হয়। কালাপাহাড়ের দাম ১০ লাখ টাকা পেলে বিক্রি করবো। দেশের যেকোনও জায়গা যে কেউ ষাঁড়টি কিনলে নিজ দায়িত্বে সেখানেই পৌঁছে দেওয়া হবে।
কুষ্টিয়া জেলা থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান বলেন, ‘কালাপাহাড় ষাঁড়টি বিশাল আকারের। ষাঁড়টি দেশি খাবার খেয়ে বড় হয়েছে। তাই গোশত ভালো মানের হবে।’
রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সরকার আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, ‘রাজবাড়ী জেলায় ছোট বড় খামার রয়েছে প্রায় ৫ শতাধিক। খামারগুলোতে দেশিসহ বিভিন্ন জাতের গরু রয়েছে। এদের মধ্যে কাসেদ খানের কালাপাহাড় গরুটি সবচেয়ে বড়। তিনি ষাঁড়টিকে সঠিক নিয়মে পালন করেছেন। আশা করি কোরবানির হাটে ন্যায্যমূল্য পাবেন।’