তবে চরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের এসবের চাইতেও বড় সমস্যা হচ্ছে খাদ্য সংকট। পারভীন বেগমের স্বামী দিনমজুর হাশেম শেখ করোনার কারণে তিন মাস কর্মহীন ছিলেন। এখন নতুন করে বন্যা হওয়ায় সব কাজ বন্ধ। আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ধারকর্জ করে কোনও রকমে চলছেন। কিন্তু তাতেও দু-একদিনের বেশি চলবে না। এরপর দুটি বাচ্চাসহ না খেয়ে থাকতে হবে তাদের। হাসেম শেখ-পারভীন বেগম দম্পতির মতো একই অবস্থা সামসুল হক ভূইয়া, রাশিদা বেগম, ওমর মাঝি, সুলতান আকনসহ চরাঞ্চলের অনেক দরিদ্র পরিবারের।
জাজিরার মাঝিকান্দি গ্রামের শামসুল হক ভূইয়া বলেন, তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে আমাদের পাঁচ জনের সংসার। করোনার কারণে কাজ কম থাকায় এমনিতেই কষ্ট করে চলছিলাম। বন্যা হওয়ায় আরও বেশি সমস্যায় আছি। ঘরের ভেতর হাঁটুপানি। বাড়িতে চারটি ছাগল পালন করতাম। পানিতে সব ডুবে যাওয়ায় ছাগলগুলো ঘরে এনে রেখেছি। তাদের খাবার জোগাড় করতেও কষ্ট হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, বন্যাদুর্গতদের জন্য এখন পর্যন্ত ৬৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৪৫০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বন্যাদুর্গতদের তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে সবাইকে ত্রাণ দেওয়া হবে।