হুমকি দেওয়ার বিষয়ে রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ রবিবার (২৩ জুলাই) বিকালে ভারপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর ড. মো. শাহজাহানের কাছে একটি অভিযোগপত্র জমা দেন। তবে বিষয়টি নিয়েও চলছে ইঁদুর-বিড়াল খেলা। কেউই সাংবাদিকদের ফোন ধরছেন না। আবার কারও কারও ফোন ধরলে এ বিষয়ে তারা কেউ কিছু জানেন না বলে জানাচ্ছেন।
এর আগে প্রক্টর ড. রাজিউর রহমানকে হুমকি দেওয়ায় তিনি সহকারি রেজিস্ট্রার মো. নজরুল ইসলামের নামে গোপালগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে, কম্পিউটার চুরির বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল গত বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট)। কিন্তু নানা নাটকীয়তার কারণে শেষ পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি কমিটি।
কমিটির প্রধান সাংবাদিকদের বলেছেন তারা দুই জন সদস্যকে যুক্ত করার পর সুবিধাজনক সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। রবিবার অব্যাহতি ও পদত্যাগী দুই সদস্যের পরিবর্তে শিক্ষার্থী উপদেষ্টা ড. মো. শরাফত আলী ও উপ-পরিচালক (পউও) তুহিন মাহমুদকে তদন্ত কমিটির সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে বিশোগদার করতেও ছাড়ছেন না। এসব বিষয়ে গোপালগঞ্জের সাধারণ শিক্ষানুরাগীরাও বিরক্ত। তাদের দাবি এসব জঞ্জাল পরিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সুশৃঙ্খল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কর্তৃপক্ষ ত্বরিত ব্যবস্থা নেবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এখন যে রশি টানাটানি চলছে তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে ধারণা সাধারণ মানুষের।
উল্লেখ্য, ঈদের ছুটির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছন দিকের জানালা ভেঙে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ১০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. প্রফেসর নূরউদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। মামলা নং-২০।
১৩ আগস্ট ঢাকার ক্রিস্টাল ইন হোটেল থেকে চুরি যাওয়া ৪৯টি কম্পিউটারের মধ্যে ৩৪টি উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল ও হুমায়ুন কবিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় গোপালগঞ্জ ও নড়াইল থেকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মাসরুল ইসলাম পনি শরীফসহ আরও ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ১৫ আগস্ট গ্রেফতারকৃত ৭ জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ায় এ মামলার আর কোনও অগ্রগতি হয়নি।