ইভ্যালির নামে প্রতারণা: ৩৯ লাখ টাকাসহ আটক ৩

1টাকা নিয়ে সময় মতো গ্রাহককে পণ্য না দেওয়াসহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে মানিকগঞ্জের সিংগাইরের ইভ্যালির কথিত একটি শাখা থেকে প্রায় ৩৯ লাখ নগদ টাকাসহ স্থানীয় ম্যানেজারকে আটক করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লা। এসময় আরও দুজনকে আটক করা হয়।
সিংগাইরের ইউএনও রুনা লায়লা জানান, ‘ইভ্যালি’ নামের ওই প্রতিষ্ঠান বলধরা এলাকার পারিল বাজারে একটি অফিস স্থাপন করে। তারা বেশি মুনাফার প্রলোভন ও বিভিন্ন পণ্যের আকর্ষণীয় অফার দিয়ে পণ্য বিক্রি করে। কিন্তু চাহিদাকৃত পণ্য সময় মতো  না দিয়ে গ্রাহকের সঙ্গে বেশ কয়েক মাস ধরে প্রতারণা করে আসছিল।

এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লা সোমবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে পারিল বাজারে অবস্থিত ওই অফিস থেকে নগদ ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ৩শত টাকাসহ অফিস ম্যানেজার বিপ্লবকে (২৫) আটক করে। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সহকারী ব্যবস্থাপক বদিউল ইসলাম ও জামাল নামে আরও একজনকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা জানান, তারা ইভ্যালির নামে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইলে কিংবা অনলাইনে নানান ধরনের প্রোডাক্ট অর্ডার নেন। পরে  তা গ্রাহকদের পৌঁছে দিয়ে থাকেন। কিন্তু এর আড়ালে ওই প্রতিষ্ঠানটি অল্প দিনে অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিদিন বলধরা শাখায় এক থেকে দেড় কোটি টাকা বিকাশ ও নগদে গ্রহণ করে থাকতো।

2

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগকারীরা তাকে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন বিকাশ ও নগদে প্রায় ১ থেকে দেড় কোটি টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু তাদের কোনও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টাকা কালেকশন করে ব্যাগ ভর্তি করে ব্যবস্থাপক নিয়ে যান।

নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লা জানান,  আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

ইভ্যালি যা বলছে

ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের ‘মানিকগঞ্জ শাখা’ বলতে কোনও শাখা নেই। এ ধরনের কোনও শাখার কার্যক্রমও নেই। বাংলাদেশে ইভ্যালির একটি কার্যালয় আর সেটি হচ্ছে রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডির ১৪ নম্বর সড়কে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, ইভ্যালির ‘শাখা ম্যানেজার’ পদবির ব্যক্তিসহ আরও যে দুজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে তারা কেউই ইভ্যালির সঙ্গে কোনওভাবে সম্পৃক্ত নয়। তারা ইভ্যালির কোনও পর্যায়ের কর্মর্কতা নন। তারা ইভ্যালির প্রাতিষ্ঠানিক সুনাম ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছে মাত্র। পুরো বিষয়টির সঙ্গে ইভ্যালির কোনও সম্পৃক্ততা নেই। এমন একটি অপরাধী চক্রকে আইনের আওতায় আনার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদও জানিয়েছ ইভ্যালি।