উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে শংকর জাতের ঐ গাভীটি ৯ মাস আগে গর্ভধারণ করে। বুধবার প্রাকৃতিকভাবেই সাদাকালো রংয়ের ফ্রিজিয়ান জাতের বাছুরটির জন্ম দেয়। জন্মের পর দেখা যায়, বাছুরের দুইটি মুখ। তবে কান ও চোখ স্বাভাবিকভাবেই দুটি করে। বাছুরটির সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল রয়েছে। বাছুরটি দাঁড়াতে পারে এবং হাঁটতেও পারে। স্বাভাবিক নিয়মে মায়ের দুধও পান করছে। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কৌতুহলী মানুষ বাছুরটি দেখতে আসছে।
সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ফারুক সরদার ও উজ্জ্বল সরদার বলেন, দুই মুখওয়ালা বাছুরের কথা শুনে আমরা দেখতে এসেছি। এমন আশ্চর্য ঘটনা আগে কখনও দেখিনি।
বাছুরটির মালিক আজাহার সরদার বলেন, গাভীটি স্বাভাবিকভাবেই বাচ্চা দিয়েছে। বাচ্চাটি দুধ খেতে পারছে। প্রতিদিন গাভী থেকে ৭-৮ কেজি দুধ পাওয়া যাচ্ছে। তিন দিন হলেও এখন পর্যন্ত কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি।
সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তরুন কুমার রায় জানান, দুইটি মুখ নিয়ে জন্ম নেওয়া বাছুর সম্পর্কে আমরা অবহিত রয়েছি। জিনগত ত্রুটির কারণে এমনটি হতে পারে। তবে বিগত দিনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে এ ধরণের বাছুর বেশি দিন বাঁচে না। তারপরও বাছুরটি এখন পর্যন্ত সুস্থ থাকায় আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।