লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন এ খবর নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বুধবার বিকালে নিহতের বাবা মামলা দায়ের করেছেন। জড়িত সবাই এই ঘটনায় আটক হয়েছে। নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। শাহবাগ থানা পুলিশ মরদেহটি ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে। পুলিশের কাছে তারা প্রাথমিকভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে আটক ব্যক্তিরা। ব্যবহৃত ছুরি ও অটোরিকশা উদ্ধার হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার কারপাশা গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যার পর ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো, হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত মো. রুবেল (২৯), মো. আকরাম মোল্লা (২১), হাসান (২২) ও মো. রাজেন (২৪)। ছিনতাই অটোরিকশাটি কেনাবেচায় জড়িত থাকার দায়ে আটককৃতরা হলো, আমির বেপারি (৪০), ইমরান ওরফে তোফায়েল (৪০), সবুজ শেখ (৩০) ও কাজল শেখ (৩১)।
এদিকে, বুধবার দুপুর ১টায় মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। চালকের গলায় গামছা পেঁচিয়ে তার হাত শক্ত করে ধরে এবং গলায় চাকু দিয়ে সরাসরি জখম করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় রুবেল, আকরাম, হাসান ও রাজেন। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৯টায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে পুলিশ হাসানকে শ্রীনগরের বাঘড়া গ্রাম থেকে আটক করে। এরপর বাকিদের আটক করা হয়। মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত অভিযুক্তদের আটকে অভিযান চালায় পুলিশ। অটোরিকশা ও ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, আহত অবস্থায় অটোচালক আশরাফুল দুই জন ঘাতকের নাম মাটিতে লিখে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে, শুধু সে ক্লু থেকেই আসামি আটক করা হয়েছে এমনটি নয়। পুলিশের কয়েকটি টিম এর সঙ্গে আরও অনেক কিছু যোগ করে অভিযান চালায়।