শনিবার (২১ নভেম্বর) দুপুর ১টায় গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বেলা আড়াইটায় সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজ মাঠে জানাযা নামাজ শেষে গোযালন্দ রেলগটে মাদ্রাসা সংলগ্ন পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তার মৃত্যুতে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ কাজী কেরামত আলীসহ রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতারা গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
দলীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, মো. নুরুজ্জামান মিয়ার শরীরে জ্বরসহ করোনার উপসর্গ দেখা দিলে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা প্রদান করেন। করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসলে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের পশ্চিম উজানচর শ্রীদাম দত্তপাড়ার নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিতে থাকেন। পরবর্তীতে অবস্থার আরও অবনতি হলে গত ৫ নভেম্বর রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসাীধন অবস্থায় অক্সিজেনের পরিমাণ কমে আসায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) তাকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে তিনি মারা যান।
জানা গেছে, স্বাধীনতাকালে গোয়ালন্দ হানাদার মুক্ত হলে গোয়ালন্দ বাজারে হাজী আব্দুল লতিফ মিয়ার ঘর থেকে বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয়। হাজী আব্দুল লতিফ মিয়ার বড় ছেলে নুরুজ্জামান মিয়া রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য ছাড়াও গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
এর আগে তিনি দীর্ঘদিন গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া গোয়ালন্দ প্রপার হাইস্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও গোয়ালন্দ পৌরসভার প্রতিষ্ঠাকালীন প্রথম পৌর প্রশাসক ছিলেন তিনি। প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ জীবনের শুরু থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করে গেছেন।