বরই চাষে ভাগ্য বদলের আশা

বরই বাগানউন্নত জাতের বরই চাষ করে ভাগ্য বদলেছেন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কদমপুর গ্রামের কৃষক সামাউল।ফিরেছে সুদিন। পাশাপাশি তার বরই বাগানে কাজ করে খেয়ে পরে ভালো আছে আরও ৩০টি পরিবার।জেলার অন্য কৃষকেরা এ ধরনের বরই বাগান করে নিজেদের ভাগ্য বদলাবেন প্রত্যাশা কৃষি বিভাগের।

বরই বাগান

সামাউল সাড়ে ৩ একর কৃষি জমি লিজ নিয়ে এবছরের প্রথম দিকে উন্নত জাতের বরই চাষ করেন। তিনি ২হাজার ৮০০ চারা লাগিয়েছেন। চাষ শুরুর পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বাগানের ফল ধরেছে আশাতীত। মাত্র ২লাখ টাকা খরচ করেছেন বাগানের জন্য। সামাউল এখান থেকে ১৫লাখ টাকার ফল বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন।

বরই বাগান

বলসুন্দরী বা কাশ্মিরি জাতের কুল ছাড়াও এই কৃষক সিডলেস কুলসহ ৪ প্রকার কুল চাষ করেছেন।এসব কুল খেতে মিষ্টি, সুস্বাদু। বাজারে এর চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। সামাউলের এ সাফল্যে ইতোমধ্যেই এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এলাকার অনেক যুবক কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

বরই বাগান

মুকসুদপুরের কমলাপুর গ্রামের হায়দার হোসেন, মেহের মামুন, দাসের হাট গ্রামের পরেশ বিশ্বাস এসেছেন সামাউলের কুল ক্ষেত দেখতে।তারা বাগান দেখে অভিভূত। তারাও তাদের জমিতে এই ধরনের কুল বাগান করবেন বলে জানান।

বরই বাগান

তারা জানান, তারা এই বাগানের কথা শুনে দেখতে এসেছেন। আগামী বছর তারাও এখান থেকে চারা ও পরামর্শ নিয়ে কুলের চাষ করবেন বলে জানান।