আলফাডাঙ্গায় বিকাশের ছিনতাই হওয়া টাকাসহ গ্রেফতার ২

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিকাশের টাকা বিতরণ কর্মকর্তাকে (ডিএসও) হাতুড়িপেটা করে প্রায় ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ছিনতাইয়ের তিন লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) জামাল পাশা।

গ্রেফতার হওয়া দুই জন হলো আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের বুড়াইচ গ্রামের হানিফ শেখের ছেলে শামীম শেখ (৩৪) এবং সদর ইউনিয়নের হিদাডাঙ্গা গ্রামের সরোয়ার মুন্সির ছেলে দিদার মুন্সি (৩২)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, ‘বিকাশের ডিএসও কামরুজ্জামান মিন্টু মোটরসাইকেলে গত ১০ জানুয়ারি এজেন্টদের সঙ্গে টাকা লেনদেনের জন্য আলফাডাঙ্গা যান। পথিমধ্যে নওয়াপাড়া হাওরের ব্রিজের অদূরে চার জন দুর্বৃত্ত তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে প্রথমে হাতুড়িপেটা করে। এরপর চাকুর ভয় দেখিয়ে তার ব্যাগে রাখা ৯ লাখ ৯১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।’

তিনি বলেন, ‘ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের পরনের তিনটি জ্যাকেট, একটি হাফ হাতা সোয়েটার, দুটি শীতের টুপি ও মিন্টুর মোটরসাইকেলের কাগজপত্র পানিপাড়া ব্রিজের নিচে ফেলে যায়। এ ঘটনায় বিকাশের ডিএসএস ফয়সাল আহমেদ বাদী হয়ে ১৩ জানুয়ারি আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন।’

জামাল পাশা জানান, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ গত শুক্রবার ঢাকা হতে প্রথমে শামীম শেখকে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দিদারকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দু’জনের কাছ থেকে দেড় লাখ করে তিন লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত আরও দু’জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর বোয়ালমারীতে একই কায়দায় বিকাশের আরেকজন ডিএসও’র কাছ হতে ২ লাখ ২২ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় একই চক্র জড়িত বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) এএফএম মহিউদ্দিন, ওসি ডিবি সুনিল কর্মকার, আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ওয়াহিদুজ্জামান ও পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফয়সাল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।