ফের চালু হচ্ছে আরিচা-কাজিরহাট রুট

বিশ বছর পর পুনরায় আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ১২টার দিকে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান নামের একটি রোরো ফেরি দিয়ে পরীক্ষামূলক ফেরি চলাচল শুরু হয়। কয়েকটি প্রাইভেটকার নিয়ে ফেরিটি কাজিরহাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এসময় বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।

পদ্মা-যমুনার নাব্য সংকট ও দূরুত্ব কমানোর জন্য ২০০১ সালের ২২ ফেরুয়ারি আরিচা থেকে পাটুরিয়া স্থানান্তর করা হয় ফেরি সার্ভিস। এরপর থেকে হাজারও মানুষের সমাগমে কর্মচঞ্চল আরিচা ফেরিঘাট শূন্য হয়ে পড়ে। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আবার ফেরি চলাচল শুরু হবে বলে দাবি ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের।

বছর দুয়েক আগে এই রুটে ফেরি চলাচলের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বিআইডব্লিউটিসি এবং বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তাদের সমন্বয়হীনতার কারণে ফেরি চালু রাখা যায়নি।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস আগে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এ নৌ-রুটের সচল করার জন্য কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে ড্রেজিং করে নাব্য সংকট দূর করে রুট সচল করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে ফেরি ওঠার অ্যাপ্রোচ রোড। উভয়ঘাটে ফেরি ভেড়ানোর জন্য পন্টুন স্থাপনসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। চলতি মাসের যে কোনও সময় আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরি চলাচল উদ্বোধন করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নৌরুটটি চালু হলে অল্প সময়ে দেশের পশ্চিম-উত্তরাঞ্চলের মানুষ ও পণ্যবাহী যানবাহন খুব সহজে রাজধানী ঢাকায় পৌঁছাতে পারবে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) মহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) রকিবুল ইসলাম তালুকদার, আরিচা অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী নিজাম পাঠানসহ বিআইডব্লিউটিএ’র বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, ইতোমধ্যে এ রুট সচল করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন কোনও সমস্যা না হয়, সেজন্য আপাতত ফেরির ট্রায়াল দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে চাহিদা অনুযায়ী ফেরি বাড়ানো হবে।