গ্রিল কেটে ওড়নার রশি বানিয়ে ২৫ ফুট উঁচু দেয়াল টপকায় ওরা

গাজীপুরে মহিলা, শিশু ও কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র থেকে ১৪ হেফাজতির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বিকেলে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ছায়েদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এ ঘটনার পর অবশ্য সাতজনকে আটক করে সেফ হোমে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। অপর সাত জন এখনও পলাতক।

গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের পরিচালক মনোয়ারা ইসরাত। সদস্যরা হলেন ওই আবাসন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক ফরিদা খানম, উপ-সচিব জগদীশ দেবনাথ, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম ও গাজীপুর জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহনাজ আক্তার। আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

পরিদর্শনকালে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ছায়েদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এ কেন্দ্রে একজন ফুল টাইম তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। হেফাজতি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দায়িত্বে কোনও অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ কেন্দ্রের নিবাসীদের খাবারের মান আরও বৃদ্ধি ও কেন্দ্রের নিরাপত্তা বৃদ্ধিসহ সার্বিক বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব

উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানাধীন ভোগড়া মোগড়খাল এলাকায় অবস্থিত মহিলা, শিশু ও কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র ভবনের তৃতীয় তলা থেকে বুধবার গভীর রাতে গ্রিল কেটে ও ভেঙে ফেলে কয়েক হেফাজতি। পরে ওড়না দিয়ে বানানো রশি বেয়ে নীচে নেমে প্রায় ২৫ ফুট উঁচু দেয়াল টপকে ওই কেন্দ্র থেকে হেফাজতী ২৮ জনের মধ্যে ১৪ জন পালিয়ে যায়। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করে।
এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের স্টোরকিপার আব্দুর রহমান মোল্লা বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) বাসন থানায় মামলা দায়ের করেছেন।