সাড়ে ৫শ’ যান আটকা শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে, যাত্রীদের বিক্ষোভ

সরকার ঘোষিত লকডাউনকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ দেখা দিয়েছে। সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকেই ঘাটে প্রচণ্ড ভিড় দেখা দেয়। বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে কমপক্ষে সাড়ে পাঁচশ' যান রয়েছে। আর লকডাউনের মধ্যে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হলেও সরকারের নির্দেশনায় শুধু লাশবাহী যান ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হচ্ছে।

এদিকে, রবিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে পদ্মা পাড়ি দিতে না পেরে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে আটকে আছে অনেক পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী গাড়ি। লঞ্চ ও ফেরি না পেয়ে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে আটকে পড়া যাত্রীরা বিক্ষোভ করেছে।

মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) নাজমুর রায়হান জানান, ঘাটে অন্যান্য যানের পাশাপাশি প্রায় ৫০টির মতো অ্যাম্বুলেন্স ফেরি পারের অপেক্ষায় আছে। সেগুলো পারাপারের জন্য ২টি ডাম্পফেরি চলছে। তবে, এমনিতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফেরি চলাচল বন্ধ আছে।

মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে পারাপার হতে না পারায় উদ্বিগ্ন যাত্রীরা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) এর শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘাটে প্রাইভেট কার, পিকআপ, যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ প্রায় পাঁচশত যান আছে। তবে, এগুলো ফেরি পার হতে পারবে না। চারটি ফেরি চলছে শুধু লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের জন্য। তারমধ্যে প্রতি ফেরিতে ২/৩ টি যাত্রীবাহী বাস পার করা হচ্ছে। গতরাতে ঘাটে আসা নাইটকোচগুলো পার হওয়ার পর আর কোনও বাস পার করা হবে না।

মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আটকা পড়েছে ৫ শতাধিক যান আর হাজার হাজার যাত্রী।

তিনি আরও বলেন, ঘাটে মাইকিং করে ঘোষণা করা হয়েছে যাতে করে ফেরির জন্য কোনও যান অপেক্ষায় না থাকে। কিন্তু, যাত্রীরা তা শুনতে চাচ্ছে না।

যাত্রীদের বিক্ষোভের ব্যাপারে তিনি বলেন, তারা আমাদের স্টাফদের মারধর করতেও উদ্যত হয়েছিল।