হেফাজত নেতারা বললেন ‘আমরা জানি না’

গত ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের হরতার চলাকালে তাণ্ডবের আগুনে পুরে লণ্ডভণ্ড হয় অনেক স্থাপনা। এ ঘটনার ৯ দিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় এবং জেলা শাখার নেতারা। সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় কালে এই প্রতিক্রিয়া জানান তারা। নেতারা বলেন, ওই ঘটনা কারা ঘটিয়েছে আমরা জানি না।

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে ও নায়েবে আমির ও জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, আমাদের নেতৃত্ব ছিল একমাত্র মাদ্রাসার সামনে। হামলা ভাঙচুরের মতো এই ন্যক্কারজনক ঘটনা কে বা কারা করেছে আমাদের জানা নেই। প্রেস ক্লাব, ভূমি অফিসসহ কোনও কিছুতেই আক্রমণ চলবে না বলে আমরা নির্দেশনা দিয়েছিলাম। আমরা এর নিন্দা জানাই।

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আমরা আগে যেমন ভাই-ভাই ছিলাম আজকের পর থেকেও আমরা ভাই ভাই। সাংবাদিক ও ওলামা ভাই ভাই হিসেবে থাকবো।

এসময় হেফাজতে ইসলামের সেক্রেটারি মুফতি মোবারক উল্লাহ বলেন, আমরা হামলা-ভাঙচুর করিনি। হরতালের দিন মিছিল নিয়ে সকালে প্রেস ক্লাবের দিকে আসি। সেখান থেকে ফিরে গিয়ে দোয়া মাহফিলের মধ্যে আমাদের কার্যক্রম শেষ করি। পরে কে বা কারা কিভাবে এসে ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমাদের জানা নেই।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আলী আজম, মুফতি বোরহান উদ্দিন কাসেমী, মুফতি নোমান হাবিবী, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, মুফতি মুহাম্মদ এনামুল হাসান, মুফতি জাকারিয়া, মাওলানা তানভীর আহমেদ ও মুফতি আসাদুল্লাহ কাসেমী।