ফেরিতে যাত্রীদের চাপে ৫ জনের মৃত্যু

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে দুই পৃথক ফেরিতে যাত্রীদের চাপে শিশুসহ পাঁচজন মারা গেছে। বুধবার (১২ মে) সকালে ফেরি রো রো শাহ পরাণে একজন ও দুপুর দেড়টার দিকে ফেরি এনায়েতপুরীতে চারজন মারা যায়।

এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েক জনের মৃত্যুর শঙ্কা রয়েছে।

নিহতদের মধ্যে শাহ পরাণ ফেরিতে নিহত শিশুর পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম আনছার মাদবর (১২)।। সে শরিয়তপুরের নড়িয়া নিবাসী। তার স্বজনেরা লাশ নিয়ে গেছে। বাকি নিহতদের পরিচয় খুঁজছে পুলিশ।

মাদারীপুরের শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. আমির হোসেন এ খবর নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এ ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় আটজনকে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করেন। অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, ফেরিতে কোনও হুড়োহুড়ির কিছু ঘটেনি। অতিরিক্ত গরমে তারা হিট স্ট্রোকে মারা গিয়ে থাকতে পারে।

এদিকে রো রো ফেরি শাহ পরাণের চালক মাস্টার সিরাজুল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিমুলিয়া ঘাট ছেড়ে আসার সময় যাত্রীদের হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়ে এক শিশু নিহত হয়েছে বলে শুনেছি। তার স্বজনেরা মরদেহ নিয়ে গেছে।

প্রসঙ্গত, ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের ভিড়ে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। যাত্রীর চাপ গত চারদিনের তুলনায় বহুগুণ বেড়েছে।