প্রাণিকুলে যমজ সন্তানের জন্ম নতুন কিছু নয়। এমনকি বিভিন্ন ফল যেমন কলা, বেগুন, টমেটোতে যমজ দেখা যায়। তবে করোনাকালে ফরিদপুরে ফুসফুস আকারের যমজ আম নিয়ে চলছে আলোচনা। স্থানীয়রা বলছেন এর মধ্য দিয়ে করোনায় ফুসফুসের যত্ন নেওয়ার বার্তাই যেন দিচ্ছে প্রকৃতি।
অদ্ভুত এ যমজ আমের দেখা মিলেছে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে। উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের তামারহাজি গ্রামের জাবের মিনা'র বাড়ির একটি আম গাছে এ যমজ আম এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে প্রচণ্ড বাতাসে আমটি পড়ে যায়। আমটি পেকে যাওয়ায় বাতাসে গাছ থেকে পড়ে যায় বলে জানিয়েছেন গাছের মালিক জাবের মিনা জানান।
প্রথমে আমটির সন্ধান পান ওই গ্রামের কলেজ পড়ুয়া যুবক সান-বি তুষার। তিনি আমের ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্টও করেন। এরপর থেকে যমজ আমটি আলোচনায় আসে। সান-বি তুষার জানান, ছবি তোলা আমার নেশা, ছবি তুলতে গিয়ে প্রথমে আমার চোখে ধরা পড়ে প্রতিবেশী জাবের মিনার বাড়ির এ যমজ আমটির।
এ দিকে যমজ আমের খবরে জাবের মিনার বাড়িতে আমটি দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। অনেকেই তারা এই প্রথম যমজ আম দেখলেন বলেও জানান। করোনাকালে ফুসফুস আকৃতির যমজ আমের ফলনে, মানুষকে যেন সচেতন হওয়ার বার্তাই দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন তারা।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. হযরত আলী বলেন, অনেক ধরনের ফল যমজ হয়। তবে যমজ আম একেবারেই দেখা যায় না। এ ধরনের আম সচরাচর দেখিনি। তবে জেনেটিক কারণে যমজ আম হতে পারে বলে জানান তিনি।