পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেলো ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা

প্রতি ৩-৪ মাস পর খুললেই কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। প্রায় পাঁচ মাস পর মসজিদটির দানবাক্স খোলা হলে পাওয়া যায় দুই কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও বেশকিছু স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৯ জুন) সকাল ৯টায় দানবাক্স খোলার পর বিকেলে গণনা শেষে টাকার এই হিসাব পাওয়া যায়।

চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি সর্বশেষ মসজিদটির দানবাক্স খোলা হয়েছিলো। সেদিন দুই কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা পাওয়া যায়। এর আগে গত বছরের ২২ আগস্ট সিন্দুক খোলা হলে এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা পাওয়া যায়।

সাধারণত তিন মাস পর পর এ মসজিদের দানবাক্স খোলা হলেও এবার করোনার কারণে চার মাস ২৭ দিন পর খোলা হয়েছে। সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আটটি দানবাক্স খোলা হয়। এরপর এগুলো বস্তায় ভরে মসজিদের দোতলায় গণনার কাজ শুরু করা হয়।

টাকা গুনছে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা

টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা মাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ, মো. ইব্রাহীম, মাহামুদুল হাসান, মো. উবায়দুর রহমান সাহেল, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভুঁইয়া প্রমুখ।

টাকা গণনার কাজে মসজিদের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ সময় সিন্দুক খোলা কমিটির সদস্যরা ছাড়াও প্রশাসনের কর্মকর্তা, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদের সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম দুপুরে টাকা গণনার কাজ দেখতে মসজিদে যান। এদিকে টাকা গণনা দেখতে শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ মসজিদে আসেন।

প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দানবাক্সগুলোতে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালংকার দান করেন। এছাড়া গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রও মসজিদটিতে দান করা হয়। লোকমুখে প্রচলিত আছে, এই মসজিদে দান করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এ কারণে দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ এসে এখানে দান করেন।