জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসের তারিখ পরিবর্তন

দুর্যোগমহান স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় অবশেষে পরিবর্তন করা হচ্ছে ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’। আগের বছরগুলোতে দিবসটি মার্চ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার পালিত হলেও এবার ১০ মার্চ পালিত হবে দিবসটি। মন্ত্রণালয় সূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে।
১৯৯৭ সাল থেকে মার্চের শেষ বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। এরপর দিবসটিকে ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত করে ২০১২ সালের ৭ নভেম্বর মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। এভাবে চলে আসার এক পর্যায়ে গত বছর মহান স্বাধীনতা দিবস পড়ে মার্চের শেষ সপ্তাহে। একই দিনে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ দিবস পড়ায় সমস্যার সৃষ্টি হয় সংশ্লিষ্টদের জন্য। এ কারণে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বিশেষ সম্মতিতে ৩১ মার্চ জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালন করা হয়। মন্ত্রিপরিষদের ওই সম্মতিপত্রে সুবিধাজনক অন্য কোনও তারিখে দিবসটি পালন করার ব্যাপারে অনুশাসন দেওয়া হয়।
জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাইয়ের পর জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালনের জন্য ১০ মার্চকে নির্বাচন করে। কারণ এদিন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কোনও দিবস নেই।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দিবসটির তারিখ নির্ধারণে গত ৬ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করা হলে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ১০ মার্চ ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’ পালনের বিষয়ে একমত পোষণ করে।
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার কার্যপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদী ভাঙন, খরা, অগ্নিকাণ্ড, ভূমিধস ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ এদেশের জনজীবনে নিত্যদিনের ঘটনা। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দুর্যোগের সংখ্যা ও ভয়াবহতা বহুলাংশে বেড়েছে। সিসমিক জোনে অবস্থিত হওয়ায় এ দেশটি ভূমিকম্পের ঝুঁকিতেও আছে।
কার্যপত্রে আরও বলা হয়, দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে রোল মডেল বিবেচিত হলেও ভূমিকম্পসহ অন্যান্য দুর্যোগে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এ জন্য আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে দিবসটি উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
/ওএফ/এফএ/আপ-এআর/