ছাত্রলীগ কর্মীকে হাতুড়ি পেটা

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে লিমন মোল্যা নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখমের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার চতুল ইউনিয়নের ধুলপুকুরিয়া গ্রামের দাদুড়িয়া বিলের ফাঁকা রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। লিমন উপজেলার কাদিরদী ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও শেখর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।

জানা যায়, বেলা ১১টায় বোয়ালমারী উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের আয়োজনে পথচারীদের মধ্যে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়। ছাত্রলীগের কর্মসূচি শেষে শেখর ইউনিয়ন ছাত্রলীগকর্মী লিমন মোল্যা (১৯) তিন বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে শেখর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে ফিরছিলেন। দুপুর ২টার দিকে পথে চতুল ইউনিয়নের ধুলপুকুরিয়া গ্রামের ডা. দিলীপ রায় হোমিওপ্যাথি কলেজের সামনে পৌঁছালে বোয়ালমারী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আঁধারকোঠা গ্রামের শাকিল নামে এক ব্যক্তি ফোনে লিমনকে জরুরি কথা আছে বলে ধুলপুকুরিয়ার ওই স্থানেই থামতে বলে। শাকিল স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র এবং সে লিমনের পূর্ব পরিচিত। এর কিছু পর চার-পাঁচজন ভ্যানযোগে এসে লিমনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে ফেলে পালিয়ে যায়। হামলায় লিমনের মাথা থেঁতলে গেছে এবং একটি চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে লিমনের দুই বন্ধু এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে ভর্তি করেন। 

বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিক বলেন, করোনায় স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে সকালে পৌর সদরের ডাকবাংলো মোড়ে উপজেলা ও পৌর শাখার আয়োজনে পথচারীদের মধ্যে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও শুকনা খাবার বিতরণের প্রোগ্রাম ছিল। সেখানে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান ও সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ, বোয়ালমারী শাখার সভাপতি সৈয়দ মোর্তুজা আলী তমাল, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুর রহমান ফাহিম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল।

তিনি আরও বলেন, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে করোনায় মাস্ক ও শুকনা খাবার বিতরণ করার জন্য সবাইকে ডাকবাংলো মোড়ে ডাকা হয়। পরে জানতে পারি বাড়ি ফেরার পথে চতুলের ধুলপুকুরিয়া এলাকায় লিমনের ওপর হামলা হয়। এ হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য দাবি জানান তিনি।

বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাইম হোসাইন বলেন, লিমন মোল্যা নামে এক ছেলের শরীরে হাতুড়ির পেছন দিক দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। তার মাথায় ও মুখে ছয়টি স্থানে জখম হয়েছে। সব মিলে জখমস্থানে ২৫টির বেশি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, ছাত্রলীগের এক কর্মীর ওপর হামলার ঘটনার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। পরে হাসপাতালে ওই ছেলেটির সঙ্গে পুলিশের কথা হয়েছে। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।