বিস্ফোরণ হওয়া সেই মসজিদটি খুলে দিতে মুসল্লিদের মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর এক বছর কেটে গেলেও এখন পর্যন্ত নামাজের জন্য খুলে না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। শুক্রবার (২০ আগস্ট) দুপুরে জুমার নামাজের পর মসজিদের সামনে স্থানীয় মুসল্লি ও এলাকাবাসী আয়োজিত এক মানববন্ধনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে মসজিদটি বন্ধ রাখায় ভেতরে দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে মেঝে স্যাঁতস্যাঁতে ও জরাজীর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে মসজিদটি নামাজের জন্য অনুপযোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে। এছাড়া এলাকার মুসল্লিদের নামাজ আদায়েও ব্যাঘাত ঘটছে। তাই আগামী মঙ্গলবারের (২৪ আগস্ট) মধ্যে তিতাসের তদন্ত কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলসহ শুক্রবারের (২৭ আগস্ট) মধ্যে মসজিদটি মুসল্লিদের নামাজের জন্য খুলে দিতে জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তারা। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সহযোগিতাও কামনা করেন। অন্যথায় তিতাস অফিস ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও এলাকাবাসী হুঁশিয়ারি দেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- মসজিদের নিহত ইমাম আব্দুল মালেক নেছারির দুই ছেলেসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। মানববন্ধন শেষে দুর্ঘটনায় নিহতদের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। স্থানীয় এক হাজারের বেশি মুসল্লি মানববন্ধনে অংশ নেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর এশার নামাজ চলাকালে গ্যাস পাইপ লাইনের লিকেজ ও বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অর্ধশতাধিক মুসল্লি দগ্ধ হন। এতে ইমাম ও মুয়াজ্জিনসহ ৩৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তিতাসের আট কর্মকর্তা-কর্মচারী, মসজিদ কমিটির সভাপতি, ডিপিডিসির মিটার রিডার ও স্থানীয় এক বিদ্যুৎ মিস্ত্রিসহ সংশ্লিষ্ট আরও বেশ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তী সময়ে মামলার তদন্তভার সিআইডি পুলিশকে দেওয়া হলে তদন্ত শেষে ২৯ জনকে আসামি করে গত ৩১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে সংস্থাটি।