সিংগাইরে ছাত্র ধর্ষণের ঘটনায় ৩ মাদ্রাসাশিক্ষক গ্রেফতার

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় নয় বছর বয়সী এক ছাত্রকে ধর্ষণের ঘটনায় মাদরাসার অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক রমজান আলী পলাতক রয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন—উপজেলা চান্দহর ইউনিয়নের আলীনগর-ওয়াইজনগর মুহাম্মদিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষ মুফতি সাইফুল ইসলাম, মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি আবদুল আউয়াল ও ক্বারী সাইফুল ইসলাম।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ওই ছাত্রকে প্রায়ই যৌন হয়রানি করে আসছিলেন শিক্ষক রমজান আলী। তিনি মাদ্রাসাতেই একটি কক্ষে থাকতেন। গত ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওই ছাত্রকে মাদ্রাসায় নিজ কক্ষে ঢেকে নেন রমজান। এরপর তাকে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি দেন। তবে পরে ঘটনাটি জানাজানি হয়। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন রমজান।

এ ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে মাদ্রাসায় গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায় পুলিশ। এ ঘটনার পর রাতেই অধ্যক্ষকসহ তিন শিক্ষককে থানায় থানায় আনা হয়। 

ভুক্তভোগী শিশুর দাদি বাদী হয়ে রমজান আলীকে প্রধান করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। এ ছাড়া রমজানকে পালাতে সহযোগিতা করায় গ্রেফতার তিন শিক্ষককে আসামি করা হয়েছে।

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যা জানান, গ্রেফতার তিনজনকে বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।