শরীয়তপুরে শাপলা বিক্রি করে চলে চার উপজেলার প্রায় আট শতাধিক পরিবার। শাপলা বিক্রিতে কোনও পুঁজি দরকার হয় না বলে বর্ষা মৌসুমে জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষক ও দিনমজুর শাপলা বিক্রি করে সংসারের খরচ চালান। বর্ষায় পানিতে ডুবে যাওয়া জমি থেকে নৌকায় করে শাপলা তুলে আনেন কৃষক ও দিনমজুররা। এরপর বিভিন্ন বাজারে সংগৃহীত শাপলা বিক্রি করেন তারা। শাপলা বিক্রি করে দৈনিক ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় হয় তাদের।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় জেলার নড়িয়া, জাজিরা, ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেলার নিচু এলাকার বিলে বর্ষা মৌসুমে অনেক শাপলা ফুটে। আষাঢ় থেকে শুরু করে ভাদ্র মাস পর্যন্ত পাওয়া যায় এই শাপলা।
নড়িয়া উডজেলার নশাসন ইউনিয়নের পারাগাঁও বিল থেকে শাপলা সংগ্রহকারী মো. রবিউল বলেন, পানির সময় একেক জন কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ মুঠো শাপলা সংগ্রহ করতে পারে। কেউ স্থানীয় বাজারে আবার কেউ এলাকায় ঘুরে-ঘুরে শাপলা বিক্রি করেন। অনেকে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে। পাইকাররা আবার সংগ্রহকারীর কাছ থেকে এসব শাপলা সংগ্রহ করে একত্রে করেন। পরে পাইকাররা শাপলা কিনে ঢাকার যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে পাঠান।
নড়িয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রোকনজ্জুমান বলেন, নড়িয়ার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় সাতটি ইউনিয়নে প্রাকৃতিকভাবে ১০০ টনের মতো শাপলা উৎপাদন হয়। পাঁচ থেকে ছয়শ’ কৃষক সরাসরি শাপলা বেচা-কেনার সঙ্গে জড়িত। শাপলা অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি। এতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ আছে। এছাড়া শর্করা, ক্যালসিয়াম, আমিষ পাওয়া যায়। তাই শাপলা দিন দিন জনপ্রিয় সবজি হয়ে উঠছে।