বাল্যবিয়ে হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছি: শিক্ষামন্ত্রী

করোনায় বাল্যবিয়ে হওয়া স্কুলছাত্রীদের আবার ক্লাসে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘করোনা অতিমারির কারণে কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বাল্যবিয়ে বেশি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, বাল্যবিয়ে হওয়া মেয়েদের আবার ক্লাসে ফিরিয়ে আনতে। সে জন্য কাজ করছি। অতিমারির কারণে অনেকেই স্থানান্তরিত হয়ে গেছে। এক শহর থেকে আরেক শহরে এবং শহর থেকে গ্রামে চলে গেছে। স্থানান্তরিত হলেও তারা যেখানেই আছে সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে সেই চেষ্টা আমরা করছি।’

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম (ভার্চুয়াল) উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অধ্যাপক মশিউর রহমান, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. ফয়জুল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাসের সংখ্যা বাড়াতে পারছি না। নতুন বছর এলে এবং সংক্রমণ আরও কমে গেলে আমরা আশা করছি ক্লাসের সংখ্যা বাড়াতে পারবো। এখন যে অবস্থা আছে তাতে সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর ক্ষেত্রে অভিভাবকরা যে পুরোপুরি স্বস্তিতে আছে, তা নয়। সে কারণে স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার কোথাও কোথাও কম আছে। আস্তে আস্তে যখন সব ক্লাস শুরু হবে তখন আবার তাদের উপস্থিতি বাড়বে, এটা নিশ্চিত। করোনাকালে কিছু শিক্ষার্থী হয়তো ঝরে গেছে। কি কারণে ঝরে পড়েছে সেটা আমাদের নিরূপণ করতে হবে। সেটা নিয়ে আমরা এখন কাজ করছি।’

দীপু মনি বলেন, ‘আরও কিছু দিন গেলে আমরা বুঝতে পারবো সত্যিকার অর্থে কতজন ঝরে পড়েছে। কতজন করোনা অতিমারির কারণে কিংবা ঋতু পরিবর্তন জনিত অসুস্থতার কারণে ক্লাসে উপস্থিত হচ্ছে না তা জানা যাবে। তখন প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের পক্ষে স্পেসিফিক ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে। আমরা এ বিষয়টি দেখছি।’