ভ্রাম্যমাণ আদালত ছেড়ে আহতকে হাসপাতালে নিলেন ইউএনও

সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিজ গাড়িতে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কর্মকর্তা মোছা. তাছলিমা আকতার। 

ইউএনও কার্যালয়ের অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে ফুকরা বাজার এলাকায় ইটভর্তি লরির সঙ্গে ভ্যানের ধাক্কা লেগে ফুকরা গ্রামের মহিদুল ইসলাম আহত হন। তাকে নসিমনে করে সালথা বাজারে নিয়ে আসা হয়। এ সময় ওই বাজারে ভ্রাম্যমাণ পরিচালনা করছিলেন ইউএনও। বিষয়টি ওনার নজরে এলে অভিযান ছেড়ে আহত মহিদুলকে নিজের গাড়িতে করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি নিজেই নিয়ে যান।

তিনি আরও জানান, গুরুতর আহত মহিদুল ইসলাম সালথা উপজেলার ফুকরা গ্রামের ওসমান মিয়ার ছেলে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকালে হাসপাতালে মারা যান ওই ব্যক্তি।

ইউএনও মোছা. তাছলিমা আকতার বলেন, ‘সালথার ইউএনও হিসেবে সব জনগণকে সেবা দেওয়াই আমার দায়িত্ব। এই দায়িত্ববোধ থেকেই সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত মহিদুল ইসলামকে হাসপাতালে নিয়ে গেছি। আমি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছিলাম। এ সময় বিষয়টি দেখে কোনও যানবাহন না পাওয়ায় নিজের গাড়িতে আহত ব্যক্তিকে তুলি এবং প্রথমে সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকালে মারা যান তিনি।’ 

তিনি বলেন, ‘আহত ওই ব্যক্তিকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাকে বাঁচাতে পারলাম না। খুবই কষ্ট লাগছে।’

ইউএনওর এমন মানবিক কর্মকাণ্ড দেখে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী। মোছা. তাছলিমা আকতার ১৩ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সালথা উপজেলায় যোগ দেন।