তেলের বাড়ানো দাম প্রত্যাহারের দাবি ভিপি নুরের

বর্তমান সরকার একটা দুর্বৃত্তের সরকারে পরিণত হয়েছে। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি সরকারের প্রতি ডিজেল ও কেরোসিনের বাড়ানো দাম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

নুর বলেন, ‘রাষ্ট্রের বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে গণমাধ্যম, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণের মধ্যে দিয়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। কাজেই এই সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এটা পাগলও বিশ্বাস করবে না। সেক্ষেত্রে আগামী নির্বাচন জাতিসংঘ, জাতীয় সরকার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে, কিন্তু এই সরকারের অধীনে নয়।’

তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে পরিবহন শ্রমিক ও মালিক পক্ষের একটি কর্মসূচি চলছে। এটি একটি যথার্থ কর্মসূচি। হঠাৎ কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ২-৩ টাকা নয়, ১৫ টাকা ডিজেল, কেরোসিনে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এই দাম বাড়ায় জনজীবনে, প্রোডাকশন থেকে শুরু করে পণ্য সরবরাহ সব জায়গায় জীবনযাত্রার মানে একটা পরিবর্তন আসবে। এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে এক ধরনের অস্বস্তি, বিপর্যয় রয়েছে। নিম্ন-মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত মানুষের দুই বেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। তাই জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবো, তেলের দাম যে বাড়ানো হয়েছে এটি প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায়, ২-৩ টাকা যাতে বাড়ানো যায়, এটা যথাযথ কর্তৃপক্ষ মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বসে সমন্বয় করতে হবে।’

এ সময় বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘জাতির বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে এখান থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে সারা দেশে আমাদের কর্মসূচি শুরু করলাম। জনগণের দৈনন্দিন জীবন যাতে আরও সহজ ও নিরাপদ এবং তাদের অধিকার যাতে প্রতিষ্ঠা হয়, এ জন্য আমরা কাজ করবো।’

জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা জোটে অংশগ্রহণ করবো কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেইনি। কিন্তু যারাই দেশের অধিকার চায়, মুক্তি স্বাধীনতা চায় এবং মানুষের ভোটের অধিকার ফেরত দেওয়ার জন্য সংগ্রাম করতে রাজি আছে, তাদের সঙ্গে আমরা দাঁড়াবো।’

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে লাখো শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা। এ সময় তাদের সঙ্গে প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।