ইভ্যালির ৪ ওয়্যারহাউজ সিলগালা

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাভারের চারটি ওয়্যারহাউজ সিলগালা করে দিয়েছে হাইকোর্ট থেকে গঠিত পরিচালনা কমিটি। প্রতিষ্ঠানটির দায় ও সম্পদ পরিস্থিতি সোমবার (৮ নভেম্বর) সরেজমিন পরিদর্শন করেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে হাইকোর্ট গঠিত পাঁচ সদস্যের একটি দল। পরিদর্শন শেষে সাভারের হেমায়েতপুরের দুটি ও আমিনবাজারের দুটি ওয়্যারহাউজ সিলগালা করে দেন তারা।

ওয়্যারহাউজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্রতারিত গ্রাহক ও মার্চেন্টের স্বার্থ সুরক্ষায় নিবিড়ভাবে কাজ করছে হাইকোর্ট গঠিত নতুন পরিচালনা কমিটি। এখানে যারা টাকা দিয়েছিলেন, তারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি, ক্ষতিগ্রস্ত এই মানুষদের যতটুকু সম্ভব স্বার্থ সুরক্ষা করে তা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা।’

‘এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির কোথায় কী সম্পদ, সেগুলো কী অবস্থায় রয়েছে এবং সেসব সম্পদ দিয়ে দায়দেনা কতটুকু পরিশোধ করা যাবে ইত্যাদি বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছে কমিটি’, যোগ করেন তিনি।

এ সময় ওয়্যারহাউজটিতে বেশ কিছু টেলিভিশন, কোমল পানীয়সহ ইলেকট্রনিকস মালামাল দেখতে পান তারা। তবে ইভ্যালির গ্রাহকদের তাদের পণ্যের রশিদ সংরক্ষণের পরামর্শও দিয়েছে গঠিত বোর্ড। এ ছাড়াও সারাদেশে অন্যান্য ওয়্যারহাউজগুলো তারা পরিদর্শন শেষে ব্যবস্থা নেবেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইভ্যালি পরিচালনায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব পাওয়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ওএসডি হওয়া অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, সাবেক সচিব মো. রেজাউল আহসান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শামীম আজিজ।