তুরাগে ভেসে উঠলো দুটি মৃত শুশুক

সাভারে তুরাগ নদ থেকে দুটি মৃত শুশুক উদ্ধার করেছেন জেলেরা। সাভার উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম সরকার জানান, রবিবার ও সোমবার শুশুক দুটি মৃত অবস্থায় ভেসে ওঠে।

জানা গেছে, সোমবার দুপুরে তুরাগ নদের আশুলিয়া ফেলাঘাট এলাকায় মৃত শুশুকটি দেখতে পেয়ে তীরে উঠিয়ে আনেন স্থানীয়রা। মৃত শুশুকটির ওজন প্রায় পাঁচ মণ। এর আগে, রবিবার বিকালে তুরাগ নদের আশুলিয়া বাজারঘাট এলাকা থেকে মৃত অপর একটি শুশুক উদ্ধার করা হয়। শুশুকটি ৫ ফুট লম্বা ও ৩ মণ ওজনের শুশুকটি তীরে উঠিয়ে আনেন জেলেরা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘রবিবার বিকালে তুরাগ নদের আশুলিয়া বাজার ঘাটে মাছ ধরছিলেন কিছু জেলে। সে সময় মৃত অবস্থায় শুশুকটি ভাসমান দেখতে পান তারা। পরে জালের মাধ্যমে সেটিকে তীরে তুলে আনা হয়।  পরে রাত ১২টার দিকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে একটি মাইক্রোবাসে শুশুকটি নিয়ে যায়।’

তারা আরও বলেন, ‘সোমবার দুপুরে তুরাগ নদে আশুলিয়ার ফেলাঘাট এলাকায় মৃত আরেকটি শুশুক ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে জেলেদের সহায়তায় সেটিকে তীরে উঠিয়ে আনা হয়।’

কামরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘ছবি দেখে বুঝেছি, এটা “গ্যাংগিজ ডলফিন” বা বাংলায় “গাঙ্গেয় শুশুক”। এটা পদ্মা ও যমুনা নদীতে এদের অভয়াশ্রম ছিল একসময়। মূলত এরা স্তন্যপায়ী প্রাণী। তবে এই অঞ্চলে গত ১০-১৫ বছরের মধ্যে এরকম শুশুক দেখা যায়নি বা শোনা যায়নি। তবে গতকাল রাতে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কে বা কারা মাইক্রোবাসে একটি শুশুক নিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি। যেটা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের একজন গবেষকের মাধ্যমে গবেষণার জন্য পাঠানোর কথা ছিল। তবে আজকের (সোমবার) পাওয়া শুশুকটি আমাদের নজরদারিতে আছে। আমরা ওই গবেষকের কাছে শুশুকটি পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। আমরা নির্বাচনি কাজে ব্যস্ত থাকায় ওখানে যেতে পারছি না। তবে ওই গবেষক ওখানে যাবেন। তার মাধ্যমেই কেন মৃত শুশুক তুরাগে ভেসে উঠছে তার কারণ জানার চেষ্টা করছি। বিষয়টা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি আমরা।’