রাজবাড়ীতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো সাতটি ইটভাটা, ২১ লাখ টাকা জরিমানা

রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলার সাতটি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) পরিবেশ অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদের নেতৃত্বে এবং ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এ এইচ এম রাসেদের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এসব ভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

পরিবেশ অধিদফতর ফরিদপুরের পরিদর্শক মনিরুজ্জামান শেখ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় র‌্যাব-৮ ফরিদপুরের একটি দল, রাজবাড়ী জেলা পুলিশের একটি দল এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মোবাইল কোর্টে সহযোগিতা করেন।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন-২০১৯ লঙ্ঘনের দায়ে এ সময় আটটি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে মোট ২১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে সাতটি ভাটা গুঁড়িয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পানি দিয়ে ভাটার আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

জানা গেছে, রাজবাড়ী সদর উপজেলার ধুলদী জয়পুরে অবস্থিত দেওয়ান সেকেন্দার আলীর মেসার্স ডিএসবি ব্রিকসের ১২০ ফিট চিমনি যন্ত্র দিয়ে ভেঙে দেয় এবং ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আগুন নিভিয়ে দেওয়াসহ ভাটার মালিককে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করে।

একইভাবে সুলতানপুরে অবস্থিত হেদায়েত কবিরের মেসার্স জেএসআর ব্রিকস নামক অবৈধ ভাটা ভেঙে দেওয়া হয় এবং তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এরপর গোয়ালন্দ উপজেলার দক্ষিণ চর পাঁচুরিয়ায় অবস্থিত ফজলে রাব্বির মেসার্স একেএফ ব্রিকসের ১২০ ফিট অবৈধ ইটভাটার চিমনি ভেঙে দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আগুন নেভানোসহ মালিককে তিন লাখ টাকা, উজানচরে খন্দকার আব্দুস সোবহানের মেসার্স এএনএ ব্রিকসকে তিন লাখ টাকা, রাজবাড়ী সদর উপজেলার চর খানখানাপুরে আনিছুর রহমানের মেসার্স আর অ্যান্ড বি ব্রিকস ভেঙে দিয়ে মালিককে তিন লাখ টাকা, খানখানাপুরে মেসার্স সাজি ব্রিকসের মালিক শরিফ উদ্দিন শেখকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং চর খানখানাপুরে বালিয়ারচরে মো. ফারুক শেখের মেসার্স এসটিবি ব্রিকসের কিলনের অংশবিশেষ ভেঙে দেওয়াসহ এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এ ছাড়াও সুলতানপুর ইউনিয়নের শাইলকাঠিতে জিয়াউর রহমানের কেআরডি ব্রিকসের কার্যক্রম হাইকোর্টের আদেশ মোতাবেক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।

পরিবেশ অধিদফতর ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এ এইচ এম রাশেদ বলেন, ‘সাতটি ভাটার ফিক্সড চিমনি রয়েছে- যা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। ঝিকঝাক ভাটা ছাড়া কোনও ফিক্সড চিমনির ভাটা চলবে না। ফিক্সড চিমনির ভাটা চালানোর কোনও সুযোগ নেই। এ ছাড়া সাতটি ইটভাটারই পরিবেশ অধিদফতেরের কোনও ছাড়পত্র নেই, জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স নেই। কয়লার পরিবর্তে অবৈধ উপায়ে কাঠ পোড়ানো হয় এবং তাদের মাটি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও অনুমতি নেই। যে কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। যন্ত্র দিয়ে ভাটা সাতটির অংশবিশেষ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ভাটা মালিকদের ২১ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।’