দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি, ভোগান্তি

নিয়মিত যানবাহনের পাশাপাশি ফরিদপুরের আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের তিন দিনের ওরস শেষে শত শত গাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। এতে অতিরিক্ত গাড়ির চাপে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় সোমবার দিবাগত রাত (১ মার্চ) থেকেই যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়। মহাসড়কে আটকা পড়েছে কয়েকশ’ যানবাহন। এর মধ্যে আটকে থাকা পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।

বিআইডব্লিউটিসি ও ঘাট সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সূত্র জানায়, বার্ষিক ওরসে, ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অসংখ্য ভক্ত শত শত বাস ও ব্যক্তিগত গাড়িযোগে অংশ নেন। আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে মঙ্গলবার ভোরে ওরস সমাপ্ত হয়। তারপর থেকেই ভক্তরা একযোগে ফিরতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি পণ্যবাহী ট্রাকের চাপও রয়েছে। এসব কারণে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ভোর থেকে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে।

সরজমিনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাটে অবস্থান করে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ পদ্মার মোড় পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটারজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। এতে পণ্যবাহী ট্রাকের  সংখ্যাই বেশি।

খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রুপসীগামী তেল ভর্তি কাভার্ডভ্যান চালক রতন বলেন, রাত ২টার সময় ঘাটে এসে সিরিয়ালে আটকে আছি। আশপাশে পাবলিক টয়লেট, খাবারের হোটেল না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। জানি না কখন ফেরির নাগাল পাবো। 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের ( বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন বলেন, সকাল থেকেই ওরস ফেরত গাড়ির চাপ থাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের সিরিয়াল তৈরি হয়েছে। তবে দুপুরের মধ্যে এ চাপ থাকবে না। এছাড়া বিকালে আবার ওরস ফেরত গাড়ির চাপ কমে যেতে পারে। বর্তমানে এ নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। এর মধ্যে রোরো ১১টি, ইউটিলিটি ছয়টি, কে টাইপ একটি ও টুইং একটি ফেরিতে যানবাহন পারাপার চলছে।