রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট পারের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েকশ যানবাহন। এতে শুক্রবার (৪ মার্চ) ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়কজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘাটপ্রান্তে ভোগান্তি ও যানজট নিরসনে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট বড় ২০টি ফেরি চলাচল করলেও খুব একটা কাজে আসছে না। দুই দিনের ব্যবধানে দৌলতদিয়াপ্রান্তে ফের কাভার্ডভ্যান ও পণ্যবোঝাই ট্রাকের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। এতে ঘাট দিয়ে চলাচলকারীদের ভোগান্তি বেড়েছে। তবে যাত্রীবাহী বাসের চাপ আজ কিছুটা কম রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, দুই দিন আগে আটরশির ওরসের গাড়ির চাপে অনেক ট্রাক পারাপার করতে পারেনি। এ ছাড়াও শুক্রবার সকাল থেকে অতিরিক্ত ট্রাকের চাপ থাকায় দৌলতদিয়াপ্রান্তে একইরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে সরজমিনে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ পদ্মার মোড় পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে যাত্রীবাহী বাস কম থাকলেও তুলনামূলকভাবে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারির থেকে কম। তবে সব যানকেই ফেরির নাগাল পেতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
খুলনা থেকে আসা কাভার্ডভ্যানচালক সাইফুর রহমান বলেন, ‘পাউডার বোঝাই করে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঘাট এলাকার গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এখনও ঘাটের কাছে যেতে পারিনি। এখনো ফেরিঘাট থেকে এক কিলোমিটার দূরে আছি।’
কথা হয় সেকেন্দার নামে আরেক ট্রাকচালকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘টিকিট কাটার পর অনেক সময় টার্মিনালে অপেক্ষা করার জন্য জায়গা দেওয়া হলেও সেখানে ঠিকমতো গাড়ি পার্কিং করতে পারি না। তাছাড়া এখানে স্থানীয় দালালদের কারণে অনেক সময় পেছনের ট্রাক আগে পার করানো হয় সুকৌশলে। ঘাটে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার সময় আমাদের গোসল, টয়লেট, খাবারের অনেক সমস্যা হয়।’
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম বলেন, ‘ভোগান্তি ও যানজট কমাতে আমরা কাজ করছি। বর্তমানে এই নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে ২০টি ফেরি চলাচল করছে। কিন্তু গতকাল থেকে আজ ট্রাকের বাড়তি চাপ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে এই যানজট সৃষ্টি হয়েছে।’