৭ মাসেও সংস্কার হয়নি দুই সেতু, যাত্রীদের ভোগান্তি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় একটি ফেরিঘাট ও একটি লঞ্চঘাট রয়েছে। লঞ্চঘাট ব্যবহারে রয়েছে কাঠ ও লোহার তৈরি আলাদা দুটি ছোট সেতু (ওভারব্রিজ)। গত বর্ষায় নদীভাঙনে সেতু দুটির একাংশ পদ্মায় ভেঙে গিয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরপর থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি সেতু বন্ধ রয়েছে। ভেঙে পড়ার সাত মাস হয়ে গেলেও মেরামতের তেমন কোনও উদ্যোগ নেই। এদিকে দৌলতদিয়া লঞ্চ টার্মিনাল ব্যবহারকারী যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

সোমবার (১৪ মার্চ) সকালে লঞ্চঘাট ঘুরে দেখা গেছে, চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ সেতু দুটি বন্ধ। একটি সেতু লঞ্চ টার্মিনালে প্রবেশ ও অন্যটি বের হওয়ার পথ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। লঞ্চে ওঠানামার জন্য বর্তমানে বিকল্প যে পথ করা হয়েছে তা অনেক ঢালু ও উঁচু-নিচু। পথটি করা হয়েছে সেতুর নিচ দিয়ে। বয়স্কদের এই পথ দিয়ে চলাচলের জন্য পড়তে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনায়। ঝুঁকিপূর্ণ ওই পথ অতিক্রম করতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে প্রায়ই সেখানে অনেক যাত্রী আহত হচ্ছেন। 

যেকোনও সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা

ঢাকা থেকে লঞ্চে পার হওয়া যাত্রী মাহফুজ বলেন, ‘সঙ্গে থাকা ব্যাগ-বস্তা নিয়ে এই ঢালু রাস্তা দিয়ে চলাচল চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। একটু বেখেয়াল হলেই ডুবতে হবে পদ্মায়। কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত সেতু দুটি মেরামত করা। তা না হলে যেকোনও সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।’

দৌলতদিয়া লঞ্চ টার্মিনালে কর্তব্যরত বিআইডব্লিউটিএ’র ট্রাফিক পরিদর্শক আফতাব হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন এই ঘাট দিয়ে কয়েক হাজার যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। কাঠের ও লোহার তৈরি সেতু দুটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন। সেতু বন্ধ হওয়াতে যাত্রীদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’

এ প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা অঞ্চলের উপসহকারী প্রকৌশলী শাহ আলম বলেন, ‘লঞ্চঘাটটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সেতু দুটি মেরামতকাজে দেরি হচ্ছে।’