স্বাধীনতা দিবসে হোটেলে ৫০ শতাংশ ছাড়, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সারাবছর

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অর্ধেক মূল্যে খাবার বিক্রির ব্যবস্থা করেছেন টাঙ্গাইলের কালিহাতীর ইছাপুরে প্রতিষ্ঠিত স্বপ্ন নামের একটি হোটেল কর্তৃপক্ষ। 

শনিবার (২৬ মার্চ) দুপুর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ সারাদিন মুক্তিযোদ্ধাসহ যেকোনো বয়সের মানুষ এই সুবিধা পাবেন। একই সঙ্গে তবে আজ থেকে সারাবছর মুক্তিযোদ্ধারা এই হোটেলে খাবার খেলেই ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন বলে জানিয়েছেন হোটেলের মালিক আব্দুর রাজ্জাক।

সারা বছর মুক্তিযোদ্ধারা এই হোটেলে খাবার খেলেই ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার ইছাপুর এলাকার স্বপ্ন রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড ক্যাফেতে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে খাবারের ৫০ শতাংশ বিল পরিশোধ করেই খেতে পারবেন সব বয়সী মানুষ। একই সঙ্গে ২৬ মার্চ থেকে সারাবছর মুক্তিযোদ্ধারা এই হোটেলে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন। দেশের জন্য শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এমন উদ্যোগ নিয়েছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, অসহায়, গরিব ও প্রতিবন্ধীদের ফ্রি খাওয়ানো হয় হোটেলটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই। হোটেলের খাবার বিক্রিতে লাভ হোক আর নাই হোক সেদিকে খেয়াল না রেখেই এসব কার্যক্রম চালু রেখেছেন হোটেলের মালিক। অসহায় ও প্রতিবন্ধীদের ফ্রি খাওয়ানো এবং বিশেষ দিবসগুলোতে ৫০ শতাংশের ছাড়ের ঘোষণায় মানুষজন অনেক খুশি। হোটেল মালিকের এমন মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সবাই।

হোটেলে খেতে আসা আনোয়ার হোসেন বাদল বলেন, ‘কম দামে চমৎকার খাবার। খাবারের মান অনেক ভালো। সবাই তো ব্যবসার চিন্তা করে। কিন্তু এই হোটেল মালিককে প্রথম দেখলাম, কম দামে খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। এতে আমি সন্তুষ্ট। আমি চাই, মাঝেমধ্যেই এমন ব্যবস্থা করা হোক।’

স্বপ্ন রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড ক্যাফ

মো. আব্দুল্লাহ নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি এর আগেও এখানে এসেছি। প্যাকেজটা চমৎকার। রান্নাও অনেক ভালো। সেজন্য আবার এসেছি। খাবার ও বসার পরিবেশ অসাধারণ। এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য হোটেল কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

হোটেলের মালিক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বরাবরের মতো মহান স্বাধীনতা দিবসে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে সারাবছরই প্রতিবন্ধী ও অসহায় ব্যক্তিদের বিনামূল্যে খাবার খাওয়ানো হয়। আজ দুপুর থেকে সারারাত যেকোনো বয়সের লোকজন ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন। এছাড়া আজ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা আমার হোটেলে সারা বছর অর্ধেক দামে খেতে পারবেন। তাদের জন্য সব খাবারের ব্যবস্থা আছে।’