সেহরি হলো না, সকাল পর্যন্ত চললো সংঘর্ষ

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় আশপাশের ১০টি বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রাত থেকে শুরু হয়ে সেহরির সময় গড়িয়ে শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের মোড়হাট, আগুলদিয়া ও জয়ঝাপ গ্রামে এই সংঘর্ষ চলে। পুলিশ এসে কয়েক রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জমিজমা সংক্রান্ত, গ্রাম্য দলাদলি ও স্থানীয় প্রভাব বিস্তার নিয়ে একই গ্রামের বাসিন্দা শাজাহান খান ও তার প্রতিবেশী আনোয়ার খানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে শাজাহানের সমর্থক মোড়হাট গ্রামের কসিম মৃধার ওপর হামলা চালায় আনোয়ারের সমর্থকরা।

ইটের আঘাতে ও হামলায় নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত

হামলার খবর এলাকায় মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে, উভয় পক্ষের কয়েকশ’ লোক দেশীয় অস্ত্র ঢাল, কাতরা, ভেলা, শরকি, টেটা ও ইটের টুকরো নিয়ে স্থানীয় মাঠে জড়ো হয়। রাতেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পরে আবার শুক্রবার সকাল থেকে উভয় পক্ষের লোকজন জড়ো হতে থাকে। এরপর চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষে আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অংশ নেয়। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে ইটের আঘাতে ও হামলায় নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোন্তাছির মারুফ বলেন, পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ও একটি সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।