বারান্দা-গাছতলায় চলছে ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসা

ফরিদপুরে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বেড়েই চলেছে। ফরিদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দুই শতাধিক ডায়রিয়া রোগী। শয্যা সংকুলান না হওয়ায় রোগীদের বারান্দা ও গাছতলায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৭৮ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর আগে ভর্তি ছিলেন ১৪১ জন। রোগীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সব স্টাফের ছুটি বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিন হাসপাতালে দেখা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ড ছাড়াও আশপাশের সকল ওয়ার্ডে এখন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। হাসপাতালের কোথাও সিট না পেয়ে অনেকেই বারান্দায় ও গাছতলায় চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন রোগীরা।

স্বজনরা বলছেন, প্রচুর রোগী। এ কারণে ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে কম। রোগীকে স্যালাইন দেওয়ার স্ট্যান্ডও নেই। বাধ্য হয়ে গাছে বেঁধে ও হাত দিয়ে উঁচু করে রাখতে হচ্ছে স্যালাইন।

ডায়রিয়া রোগীদের সেবায় নিয়োজিত নার্স আমেনা খাতুন জানান, ‘রোগী আসছে প্রচুর। জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। নিরূপায় হয়ে অনেকেই ফ্লোর ও বারান্দা, আবার অনেকে গাছতলায় সেবা নিচ্ছেন। সেবা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’

জেলা সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, গত দেড় মাস ধরে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বেড়েছে। দুই দফা বেড়েছে ডায়রিয়া আক্রান্তের হার। এবারের হার গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি।

তিনি আরও জানান, ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শয্যা আছে মাত্র ১০টি। বর্তমানে ভর্তি রোগী আছে দুই শতাধিক। অন্য রোগীদের সেবা সাময়িক স্থগিত করে সকল ওয়ার্ডে ডায়রিয়া আক্রান্তদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। সেবা দিতে চিকিৎসক ও নার্সরা হিমশিম খাচ্ছেন। তবে চিন্তার কারণ নেই। সাধ্যমতো সেবা দেওয়া হচ্ছে। রোগীরা দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছেন।

সিভিল সার্জন বলেন, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কিছু ডায়রিয়া রোগী ভর্তি নিলে সদর হাসপাতালের চাপ অনেকটা কমতো। রোগীরাও ভালো সেবা পেতেন।