মাওয়া ঘাটে সন্ধ্যায় ঘরমুখো মানুষের চাপ 



ঈদকে সামনে রেখে দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গের প্রবেশপথ হিসেবে খ্যাত মুন্সীগঞ্জের মাওয়া (শিমুলিয়া কাঁঠালবাড়ি) ঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকেই ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে। তবে দুপুরে কিছুটা কমলেও বিকালে আবার চাপ বাড়ে। 

এদিকে ঈদের আগে আজ ছিল শেষ কর্মদিবস। প্রায় এক সপ্তাহের ছুটিতে সবাই ফিরছে নিজ নিজ বাড়িতে। করোনার কারণে দুই বছর বাড়ি ফেরার সুযোগ কম থাকায় এবার বেশি পরিমাণে মানুষ বাড়ি ফিরছে। এতে স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে চাপ।  

ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় এখন রয়েছে শতাধিক যানবাহন। এছাড়া লঞ্চ ও স্পিডবোটেও যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।   

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) মাওয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে দীর্ঘ আট মাস রাতে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। তবে গত মঙ্গলবার রাত থেকে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। এখন এই রুটে দিনে দশটি ফেরি ও রাতে ছয়টি ফেরি চলছে। বহরে বুধবার পর্যন্ত কোনও রো রো ফেরি না থাকলেও বৃহস্পতিবার একটি রো রো ফেরি এনায়েতপুরী যুক্ত হয়েছে।

ফেরি কম থাকায় লঞ্চে যাত্রী পারাপার বেড়েছেতিনি আরও জানান, সকালে যানবাহন ও যাত্রীর বেশ চাপ ছিল। পাশাপাশি ছিলো মোটরসাইকেলের চাপ। কমপক্ষে পাঁচশ’ মোটরসাইকেল সকালেই পার হয়েছে। তবে দুপুরে ফেরিঘাট প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়। বিকালে আবারও চাপ বাড়ে। বর্তমানে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকেও প্রায় শতাধিক ছোট যান ফেরিতে উঠার অপেক্ষায় ছিল।

বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাটের পরিবহন পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, নৌরুপথে ১৫৩টি স্পিডবোট ও ৮৩টি লঞ্চ চলাচল করছে। ফেরির সংখ্যা কম থাকায় লঞ্চেই বেশি সংখ্যক যাত্রী পার হচ্ছেন। স্পিডবোট চলাচল করছে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এবং লঞ্চ চলাচল করবে রাত ১০টা পর্যন্ত।