বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলপ্লাজায় মোটরসাইকেলের দীর্ঘ সারি

ঈদকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গগামী ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ের জন্য স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ লেন বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি মোটরসাইকেলের জন্য করা হয়েছে আলাদা দুই লেন। তারপরও শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সেতুর পূর্ব প্রান্তের গোলচত্ত্বর থেকে টোলপ্লাজা পর্যন্ত মোটরসাইকেলের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বদিকের সড়কে মোটরসাইকেলের দীর্ঘ সারির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। একসঙ্গে এত মোটরসাইলেকের সারি থাকায় বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে ওই সময় একসঙ্গে কতগুলো মোটরসাইকেল পার হয়, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। 

বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজা সূত্র জানায়, স্বাভাবিক অবস্থায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে তিন-চারটি লেন চালু রাখা হয় টোল আদায়ের জন্য। কিন্তু ঈদকে সামনে রেখে এই মহাসড়কে প্রায় কয়েকগুণ যানবাহন চলাচল বেড়ে যায়। তাই যানজট মুক্ত রাখতে সেতুতে বাস-ট্রাক, মাইক্রোবাসসহ অন্যান্য যানবাহনের জন্য সাতটি লেনে টোল আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া মোটরসাইকেলের জন্য গোলচত্ত্বর থেকে বাম দিকের রাস্তা দিয়ে আলাদা দুই লেন করা হয়েছে। 

তবে অতিরিক্ত মোটরসাইকেলের কারণে সকালে পুরোপুরি লেন দুটি বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে ওই লেন দুটি দিয়ে স্বাভাবিকভাবেই মোটরসাইকেল চলছে। তবে ওই সময় মোটরসাইকেলের এক আরোহীর করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

মোটরসাইকেল আরোহীরা জানান, যানজটের শঙ্কায় এবার রাজধানী থেকে অসংখ্য মানুষ মোটরসাইকেল করে বাড়িতে ফিরছেন। প্রতিটি মোটরসাইকেলে দুই থেকে তিনজন করে যাত্রী রয়েছেন। অনেকে ঝুঁকি নিয়ে আবার শিশু সন্তান নিয়েও মোটরসাইকেল করে বাড়ি ফিরছেন।

এলেঙ্গাতে দাঁয়িত্বরত সাব-ইন্সপেক্টর রিপন বলেন, সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি। তবে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। 

বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী বলেন, 'মোটরসাইলেকের জন্য আলাদা দুটি লেন করা হয়েছে। সকালে এই লেনে মোটরসাইলেকের দীর্ঘ সারি ছিল। তবে এখন সব স্বাভাবিক রয়েছে।'