বাংলাবাজার ঘাটে কিলোমিটার ছাড়িয়েছে মোটরসাইকেলের লাইন

ঈদ শেষে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুট দিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রবেশদ্বার খ্যাত শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে শুক্রবার (৬ মে) রাত ৯টার দিকে দেখা গেছে সেখানে সচল রয়েছে ৫টি ফেরি। এতে যাত্রীবাহী গাড়িগুলোকে ঘাটে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়। এর মধ্যে চার নম্বর ঘাটের পল্টুনে সামনে প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ মোটরসাইকেলের সারি দেখা গেছে।

এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর পর একটি ছোট ফেরি আসছে ঘাটে। তাতে দেড় থেকে পৌনে দুই শ’ মোটরসাইকেলের জায়গা হচ্ছে। বাকিরা আছে অপেক্ষায়। এসব বাইকের অনেকগুলোয় দেখা গেছে শিশু ও নারীদের।

এদিকে ঘাট এলাকায় খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, বাংলাবাজার ঘাটে সকাল থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে একের পর এক ফেরি ছেড়ে যাচ্ছে। তারপরও ৪ নং ঘাটের কাছে মোটরসাইকেলের লম্বা সারি।

বাংলাবাজার ঘাটে কথা হয় প্রাইভেট কারচালক মো. সাহিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, দুপুরে ঘাটে এসেছি। পদ্মা পার হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। তবে ভিআইপি পরিচয় দিয়ে অনেক গাড়িই পরে এসে আগে পার হচ্ছে। আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে।

received_299065685746539

গোপালগঞ্জ থেকে আসা জহিরুল হক বলেন, আমি বেলা ১২টায় সিরিয়াল দিয়ে বসে আছি। ১০ ঘণ্টা পার হলেও ফেরি পাইনি। সঙ্গে বাচ্চাও আছে। এই রুটে দ্রুত ফেরি বাড়ানো দরকার।

গোপালগঞ্জের মকসুদপুর থেকে আগত মোটরসাইকেল আরোহী সিফাত বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে ঘাটের দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। সুবিধামতো সময়ে রওনা দিয়ে নির্বিঘ্নে ঢাকা যেতে পারতাম। আজ নাইট ডিউটি ছিল। এখনও ঘাট পার হতে পারলাম না।

বিআইডব্লিউটিসি'র বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার সালাউদ্দিন জানান, সকাল থেকে ব্যক্তিগত ও মোটরসাইকেলের বেশ চাপ রয়েছে। বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে মোট ৫টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটে প্রায় পাঁচ শতাধিক পণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়িও পদ্মা পাড়ির অপেক্ষায় আছে। আমরা অ্যাম্বুলেন্স, রোগীবাহী যানবাহন গাড়িকে জরুরিভিত্তিতে পার করছি। ফেরি কম থাকায় কিছুটা দুর্ভোগ থেকে যাচ্ছে।

ভিআইপি সুবিধা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিরিয়াল মেনে ঘাটে আসা গাড়িগুলো পার করা হয়। কোনও গাড়ির আগে পার হওয়ার সুযোগ নেই।