পূর্বাচলে প্লট বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে খুন হয়েছিলেন ব্যবসায়ী মজিবর

গাজীপুরের পূর্বাচলের প্লট বিক্রির টাকা ভাগাভাগির জেরে শ্বাসরোধে ঢাকার ব্যবসায়ী মজিবর রহমানকে (৫০) হত্যা করেছিলেন ব্যবসায়িক পার্টনাররা। প্রায় দেড় বছর পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় জড়িত এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় গাজীপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেফতারকৃত রাসেল (৩৫) ঢাকার খিলক্ষেত থানার পাতিরা এলাকার মৃত রুহুল আমিনের ছেলে। নিহত মজিবর রহমান খিলক্ষেত থানার ডেলনা এলাকার আছিম উদ্দিনের ছেলে।

এসপি মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, মজিবর রহমান জমি কেনাবেচার মিডিয়া হিসেবে কাজ করতেন। ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে ব্যবসায়িক কাজের কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। পরদিন ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলার পারাবর্থা এলাকার পূর্বাচলের ২৫ নম্বর সেক্টরের ওয়েস্টার্ন চত্বরের পাশের গজারি বনের ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রুমি বেগম বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। প্রায় তিন মাস মামলা তদন্ত করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। কিন্তু রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় মামলা তদন্তের দায়িত্ব পিবিআই গাজীপুরকে দেওয়া হয়। পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর হাফিজুর রহমান তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ ঘটনায় জড়িত অপর ব্যবসায়ী রাসেলকে গ্রেফতার করেন। বুধবার (১৮ মে) গ্রেফতারকৃত রাসেল ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

পুলিশ সুপার মাকছুদের রহমান বলেন, মজিবর ও রাসেলসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর চার জন জমি ক্রয়-বিক্রয়ের মিডিয়া হিসেবে কাজ করতেন। খিলক্ষেতের পাতিরা এলাকার নছু মিয়া তার মালিকানাধীন পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকার একটি প্লট বিক্রির দায়িত্ব দেন প্রতিবেশী মজিবরকে। ওই প্লট বিক্রির পর মজিবরের কাছে নিজেদের ভাগ চান রাসেল ও তার সহযোগীরা। কিন্তু টাকার ভাগ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন মজিবর। এর জেরে মজিবরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন রাসেল ও তার সহযোগীরা। ঘটনার দিন মজিবরকে মোবাইল ফোনে ডেকে পূর্বাচলের ওয়েস্টার্ন চত্বরের পাশের গজারি বনের ভেতর মাদক সেবন করেন। একপর্যায়ে তারা মজিবরকে মারধর করে মাটিতে ফেলে দেন। এ সময় চিৎকার দিলে মজিবরকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তারা।