ঝুঁকিপূর্ণ আরও ১০ লঞ্চ চালুর অনুমতি

নারায়ণগঞ্জে দুটি রুটে ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যা দেওয়া আরও ১০টি ছোট লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সম্প্রতি অনুমতি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপ-পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য।

তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘লঞ্চ মালিকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুটি রুটে আরও ১০টি লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-মতলব রুটে ৯টি ও নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ রুটে একটি লঞ্চ চলাচলের অনুমতি পেয়েছে। এক বছরের মধ্যে এই লঞ্চগুলোকে হাইডেক লঞ্চে পরিবর্তন করার শর্ত দেওয়া হয়েছে। লঞ্চগুলোর দৈর্ঘ্য ৬৫ ফুট থেকে ৬৯ ফুটের মধ্যে।’

রুট পারমিট দেওয়ার বিষয়ে বাবু লাল বৈদ্য বলেন, ‘এসব লঞ্চ মালিকের মধ্যে যারা আবেদন করেছেন, তাদের রুট পারমিট দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৩ জুন) থেকে অনুমতিপত্র ইস্যুসহ রুট পারমিট দেওয়া শুরু হয়েছে। রবিবার (১২ জুন) বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ এই অনুমতি দেয়। এর আগে দুই দফায় ২২টি সানকেন ডেক লঞ্চের অনুমতি দেওয়া হয়। এছাড়া আরেকটি হাইডেকের লঞ্চ আগে থেকেই চলাচলের অনুমতি ছিল। সবমিলে ৩৩টি লঞ্চ নারায়ণগঞ্জে চলাচল করছে।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার নারায়ণগঞ্জ জোনের সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল বলেন, ‘দুটি রুটে আরও ১০টি লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। তবে আমরা সবগুলো লঞ্চ চলাচলের অনুমতি চাই। এই টানাপড়েনের ফলে ইতোমধ্যে ২০টি লঞ্চ কেটে (স্ক্র্যাপ) বিক্রি করে দিয়েছেন মালিকরা।’

যাত্রী সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে লঞ্চ চলাচলের রুট মরে গেছে। এখন যাত্রী নেই বললেই চলে। নানা কারণে এই সংকট তৈরি হয়েছে।’

এর আগে, গত ২৪ এপ্রিল সানকেন ডেকের ১৮টি লঞ্চ চালুর অনুমতি দেওয়া হয়। পরে আরও চারটি লঞ্চের অনুমতি দেওয়া হয়। এসব লঞ্চের দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট থেকে তার বেশি। এছাড়া একটি হাইডেকের লঞ্চ আগে থেকেই চলাচলের অনুমতি ছিল।

উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজ রূপসী-৯ এর ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এম এল আফসার উদ্দিন ডুবে ১০ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পরে ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে চলাচলকারী সানকেন ডেকের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিএ। পরে লঞ্চ মালিক-শ্রমিকদের দাবি ও আন্দোলনের মুখে যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে এসব লঞ্চ চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।