ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের দীর্ঘ সারি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে (ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) মধ্যরাত থেকে টোল আদায় শুরু হয়েছে। প্রথম দিন শুক্রবার (১ জুলাই) সকাল থেকে মহাসড়কের ভাঙ্গার বগাইল টোল প্লাজা এলাকায় গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, টোল এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেশি। টোল আদায়ে মোট আটটি বুথ থাকলেও দুপুর পর্যন্ত সাতটি চালু রয়েছে। বিকাল নাগাদ আটটি বুথই চালু করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হামিদউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সকাল থেকেই ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার সদস্যরা টোল এলাকায় কর্মরত রয়েছেন। আমি নিজেও এখানে সকাল থেকে অবস্থান করছি।

মধ্যরাত থেকে টোল আদায় শুরু হয়েছে

তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সাতটি বুথ থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে। বিকাল নাগাদ আটটি বুথই চালু করা হবে। ঢাকা থেকে আসা গাড়ির টোল আদায় করা হচ্ছে ৫টি বুথে এবং ঢাকাগামী যানবাহন থেকে দুটি বুথের মাধ্যমে টোল নেওয়া হচ্ছে। সকাল থেকে গাড়ির চাপ রয়েছে।’

আরও পড়ুন: ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু

কেরানীগঞ্জ সড়ক ও জনপদের (সওজ) কমকর্তা আবদুল মোমেন জানান, রাত ১২টা থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু হয়েছে। আদায়কারী সংস্থা কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে (কেইসি) টোল প্লাজা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য অনুমোদিত সব ধরনের যানবাহনের জন্য টোল নির্ধারণ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। গত ২৯ জুন মন্ত্রণালয়ের টোল ও এক্সেল শাখার উপ-সচিব ফাহমিদা হক খানের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

৫৫ কিলোমিটারের টোল হার অনুযায়ী, ট্রেইলার ১ হাজার ৬৯০ টাকা, হেভি ট্রাক ১ হাজার ১০০ টাকা, মিডিয়াম ট্রাক ৫৫০ টাকা, বড় বাস ৪৯৫ টাকা, মিনি ট্রাক ৪১৫ টাকা, মিনিবাস ২৭৫ টাকা, মাইক্রোবাস ২২০ টাকা, ফোর হুইলচালিত যানবাহন ২২০ টাকা, সিডান কার ১৪০ টাকা, মোটরসাইকেলে ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।