দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া পারাপার হবে স্বস্তির, চলবে ২১ ফেরি 

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় এবারের ঈদযাত্রায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ভোগান্তি পোহাতে হবে না। বরং এই রুট ব্যবহারকারী যাত্রী ও যানবাহন চালকরা সহজেই ফেরিতে উঠতে পারবেন, সম্ভব হবে স্বস্তির পারাপার। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বেলা ১১টায় গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ঘাট ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুতি সভায় এমনটাই জানান সংশ্লিষ্টরা। 

জানা যায়, ঈদুল আজহায় অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামাল দিতে এবার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে চলাচল করবে ২১টি ফেরি ও ২২ ছোট-বড় লঞ্চ চলাচল। প্রয়োজন আরও একটি ফেরি বাড়ানো হবে। তবে ঈদযাত্রায় যেন কোনও ভোগান্তি না হয় সে বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। 

তবে বিগত বছরগুলোতে ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে গত ২৫ জুন মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর পাল্টে গেছে দৌলতদিয়া ঘাটের চিত্র। অতীতে দৌলতদিয়ায় মহাসড়কে ফেরির অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতো যানবাহন। তবে এখন যানবাহনের কোনও সিরিয়াল ঘাট এলাকায় দেখা যায় না। ফলে এবারের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি থাকবে না বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অনুষ্ঠিত সভায় ইউএনও মো. জাকির হোসেন বলেন, আসন্ন ঈদে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে যাতায়াতকারীরা যাতে কোনও ভোগান্তির শিকার না হয়, সে জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীদের কাছ থেকে যাতে কেউ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে, সে লক্ষ্যে কঠোর নজরদারি থাকবে। এছাড়া মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন কোনও গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, ঈদে মানুষের যাতায়াতের পাশাপাশি কোরবানির পশুবাহী গাড়ি দৌলতদিয়া ঘাট হয়ে পারাপার হচ্ছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। বাস মালিকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে আপনারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করবেন না। ভাড়ার তালিকা টানিয়ে দেবেন। এসময় করোনার সংক্রমণ বাড়ায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার  আহ্বান জানান তিনি। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সী, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদারসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা, জেলা বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।