চার লাখে কেনা ‘রংবাজ-বিন্দাসের’ দাম এখন ৩০ লাখ

ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। এরইমধ্যে নানা আকৃতির বড় গরুগুলোর বাহারি নাম নজর কেড়েছে সবার। নজর কাড়া গরুগুলোর মধ্যে দুটি মানিকগঞ্জের ‘রংবাজ ও বিন্দাস’।

একেকটি ষাঁড়ের ওজন ৩৫ মণ করে। প্রতিটির দাম ১৫ করে ৩০ লাখ টাকা চাচ্ছেন মালিক ফিরোজা বেগম। জেলার সবচেয়ে বড় এ দুটি ষাঁড় দেখতে প্রতিদিন ফিরোজার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ।

সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি ইউনিয়নের সাহাপাড়া গ্রামের হারুন মিয়ার স্ত্রী ফিরোজা বেগম তিন বছর আগে চার লাখ টাকায় ফ্রিজিয়ান জাতের দুটি ষাঁড় কেনেন। ষাঁড় দুটিকে আদর-যত্নে লালন-পালন করেন।

ফিরোজা বেগম বলেন, ‘আদর করে ষাঁড় দুটির নাম দিয়েছি রংবাজ- বিন্দাস। দুটি ষাঁড়ের ওজন ৩৫ মণ করে। কুঁড়া, ভুসি, ঘাস ও দেশি ফলমূল খাইয়ে বড় করেছি। রংবাজের মেজাজ একটু চড়া। বিন্দাস শান্ত প্রকৃতির। দিনে চার থেকে পাঁচবার গোসল করানো হয়। প্রতিদিন রংবাজ-বিন্দাসের খাবার বাবদ খরচ হয় দুই হাজার টাকার বেশি। ১৫ করে ৩০ লাখ টাকা হলে ষাঁড় দুটি বিক্রি করে দেবো।’

নজর কাড়া গরুগুলোর মধ্যে একটি মানিকগঞ্জের ‘বিন্দাস’

এদিকে, ষাঁড় দুটি দেখতে প্রতিদিন উৎসুক মানুষ ভিড় করছেন ফিরোজার বাড়িতে। ষাঁড় দুটির পেছনে ফিরোজার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। তিনি যেন ন্যায্য দামে ষাঁড় দুটি বিক্রি করতে পারেন এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

গরু পালন করে একজন গৃহবধূর আত্মনির্ভরশীল হওয়াকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফাজ উদ্দিন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, ‌‘ফিরোজা বেগম প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে ষাঁড় দুটি লালন-পালন করেছেন। আমাদের পক্ষ থেকে ওই নারীকে সব ধরনের সহায়তা করা হয়েছে। তার ষাঁড় দুটি জেলার সবচেয়ে বড়।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, কোরবানি ঘিরে জেলায় ১১ হাজার ১৫৫টি খামারে ২৯ হাজার ৭১৭টি ষাঁড়, এক হাজার ৩৫০টি বলদ, ১৮ হাজার চারটি ছাগলসহ ৫৬ হাজার ৮৫০টি গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে।’