পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ঘরমুখো মানুষের স্রোত 

স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌপথে একটু চাপ বেড়েছে। তবে স্বস্তিতে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন ঘরমুখো মানুষ। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ফেরিঘাটে আগের মতো ভোগান্তি নেই। পাটুরিয়া ঘাট থেকে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে ছেড়ে আসছে ফেরি। তবে যানবাহনের তুলনায় যাত্রী বেশি পার হচ্ছেন।

শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল ১০টায় দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরিঘাটে দেখা যায়, পাটুরিয়া ঘাট থেকে ইউটিলিটি (ছোট) ফেরিতে দুটি ট্রাক, তিনটি বাস ও কয়েকশ' যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে আসে একটি ফেরি। ঘাটপ্রান্তে ঢাকামুখী কোনও যানবাহনের সারি নেই। নদী পারে কোনও গাড়িকে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। তবে পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে আসা যাত্রীর চাপ রয়েছে।

ফেরি থেকে নেমে পন্টুনে আসা কুষ্টিয়াগামী মোটরসাইকেল আরোহী সালমান আহম্মেদ বলেন, ‌‌‘সড়কে কোথাও কোনও বাধার সম্মুখীন হইনি। মাঝে মাঝে মহাসড়কে একটু যানজটে পড়তে হয়েছে। তবে মোটরসাইকেলে আসার কারণে দ্রুত আসতে পেরেছি।’ 

যানবাহনের তুলনায় যাত্রী পার হচ্ছে বেশি

পরিবার নিয়ে ফেরি পার হয়ে আসা মেহেরপুরগামী যাত্রী হাসান হাবিব বলেন, ‘আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। বৃহস্পতিবার ছুটি পেয়েছি। ভোর ৫টার দিকে উত্তরা থেকে রওনা দিই। গাবতলীতে বাস কম থাকায় এবং বাড়তি ভাড়া নেওয়ায় একটু ভোগান্তি হয়েছে। তবে ঘাটে আগের মতো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। এখন লোকাল বাসে সিট পেলে যাবো। না হয় ভেঙে ভেঙে যেতে হবে।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, আগামী রবিবার ঈদ। তাই আজ সকাল থেকেই ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে।ভোগান্তি কমানোর চেষ্টা চলছে। বর্তমানে এই নৌপথে ২১টি ফেরির মধ্যে ১৯টি ছোট-বড় ফেরি চলাচল করছে। বাকি দুটি ফেরি পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে মেরামতে রয়েছে।