স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। অনেকে স্ত্রী-সন্তানদের রেখে একাই ফিরছেন ঢাকায়। আবার কেউ কেউ ফিরছেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকামুখী যানবাহনের পাশাপাশি যাত্রীদের চাপ বাড়ছে দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে। তবে যানবাহন-যাত্রীর চাপ থাকলেও ঘাটে কোনও ভোগান্তি নেই। স্বস্তিতেই কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকাল ১০ টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে যানবাহনের চাপ কম থাকায় ফেরিগুলো ঘাটে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ৫ নম্বর ফেরিঘাটে মাধবীলতা ফেরি (ইউটিলিটি) যাত্রী ও যানবাহনের জন্য ঘাটে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে বেলা ১১টার দিকে ছয়টি মাইক্রোবাস, ৩০টি মোটরসাইকেল ও প্রায় তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঘাট ছেড়ে গেছে। এদিকে বেলা ১১টার দিকে ৫ নম্বর ফেরিঘাটে শাহ জালাল ফেরিটিও (রো রো) এক ঘন্টা অপেক্ষা করে দুটি যাত্রীবাহী বাস ও শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঘাট ছেড়ে গেছে। তবে পদ্মার তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মোটরসাইকেল নিয়ে আসা হামিদুর রহমান বলেন, ঈদে বাইক নিয়ে বাড়ি যেতে পারবো কিনা এ নিয়ে দুচিন্তায় ছিলাম। অবশেষে বাইক নিয়ে কোনও বাঁধা ছাড়াই নিরাপদে বাড়ি যেতে পেরেছিলাম। এখন ঈদের ছুটি শেষে কোনও ভোগান্তি ছাড়াই কর্মস্থলে ফিরছি। এতে খরচ ও সময় দুটোই বাঁচে। তিনি আরও বলেন, বিগত বছর গুলোতে দৌলতদিয়া ঘাটে যে ভোগান্তি দেখেছি, এবার তার একভাগও দেখছিনা।