পুনাক মেলায় আলোকসজ্জা

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে দিনে এক ঘণ্টা এলাকাভিত্তিক শিডিউল লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে এ অবস্থায় শরীয়তপুরে মাসব্যাপী আয়োজিত পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) হস্ত, কুটিরশিল্প ও পণ্য মেলায় মানা হচ্ছে না এমন নির্দেশনা। মেলার প্রতিটি স্টলে, ভেতরে ও বাইরের চারপাশে আলোকসজ্জার বিষয়টি সবার নজরে এসেছে। এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

রবিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে প্রতিটি স্টল খোলা আছে। এ স্টল খোলা থাকবে রাত ১১টা পর্যন্ত। এতে স্টলের ভেতরে ও বাইরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য বাতি জ্বলছে। স্টল ছাড়াও মেলায় বাড়তি বিনোদনের জন্য রয়েছে সার্কাস। এ সার্কাস চলে রাত ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। এখানে ভেতরে ও বাইরে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা রয়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন নাম উল্লেখ না করার শর্তে বলেন, যেখানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক ও জ্বালানি সমস্যা সেখানে আলোকসজ্জা করে মেলা কীভাবে করে এটা আমাদের মাথায় আসে না। অনেক অফিস দেখলাম তারা এসি বন্ধ করে অফিস করে। আর এখানে আলোকসজ্জা করে মেলা হচ্ছে। আমরা নিজেরা যদি সচেতন না হই, তাহলে এ সংকট মোকাবিলা করা কঠিন।

শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান বলেন, আর সাত দিন মেলা চলবে। এটা তাদের করতে না দিলে স্টল মালিকদের লোকসান হয়ে যাবে। নির্দেশনা আছে দিনের বেলা ডিজেল ব্যবহার করে পেট্রোল ব্যবহার করে জেনারেটর দিয়ে কাজ চালাতে। এছাড়া আমাদের পুলিশ লাইন্সের কোনও বিদ্যুৎ তাদের ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না। মেলা কর্তৃপক্ষ শরীয়তপুর ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড থেকে ম্যানেজ করে বিদ্যুৎ নিয়েছে।

শরীয়তপুর ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামাল উদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেলার বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। আপনার যদি কোনও তথ্য জানার থাকে, তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করুন। তখন বিস্তারিত জানানো হবে।