হাসপাতালে এক যুগ পর অস্ত্রোপচার, খরচ হয়নি রোগীর

দীর্ঘ একযুগ পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্ত্রোপচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার (২৭ জুলাই) অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে আলমগীর হোসেন নামে এক রোগীর টিউমার সফলভাবে অপসারণ করা হয়।  

অস্ত্রোপচারে অংশ নেন গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. শাহ মুহাম্মদ শরীফ। তাকে সহযোগিতা করেন নার্স তত্ত্বাবধায়ক মৃদুলা রানী বিশ্বাস, রমা রানী, মুক্তা সরকার।

রোগী আলমগীর হোসেন বলেন, আমি দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটে মাছের ব্যাবসা করি। আমার বাম হাতের আঙুলে টিউমারের মতো হয়ে বড় আকার ধারণ করে। একসময় হাতে জ্বালা পোড়া শুরু হয়। এই  কারণে আমার শারীরিক নানা সমস্যা ছিল। পাশের বাড়ির একজনের পরামর্শে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হই। ভর্তি হওয়ার পর ডা. শাহ মুহাম্মদ শরীফ স্যার আমাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন ও অস্ত্রোপচারের বিষয়ে সাহস জুগিয়েছেন। ডাক্তারদের সেবা ও কার্যক্রম দেখে আমি খুবই সন্তুষ্ট। বর্তমানে আমি সুস্থ আছি। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তারা আমার এ অপারেশন করে দিয়েছেন। 

কোনও খরচ ছাড়াই অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হওয়ায় খুশি রোগী ও স্বজনরাহাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহ মুহাম্মদ শরীফ বলেন, মানবদেহের বহিরাংশের যে কোনও টিউমার, গুটি, চাকা, স্তন টিউমার, সিস্ট, গ্যাংলেয়ন, ফিশার (গেজ), ফিস্টুলা (ভগন্দর), পাইলস, ডারময়েট টিউমার, হার্ণিয়া, হাইড্রোসিল, লাইপমা, ঠোটকাটা, ছোটখাট জন্মগত ত্রুটির অপারেশন এখন থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই হবে।  এতে কোনও অর্থ খরচও লাগবে না। পরবর্তীতে এখানে আমাদের বড় ধরনের অস্ত্রোপচারের জন্য কাজ চলছে। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ আমিরুল হক শামীম বলেন, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালে এখন থেকে ছোট ছোট অস্ত্রোপচার হবে।  প্রয়োজনীয় চিকিৎসকসহ সে প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। এখানে গাইনি ডাক্তার নেই। একজন গাইনি ডাক্তার এলে সিজারিয়ান অপারেশনও করা হবে বলে জানান তিনি।