হিরো আলমের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও হত্যার হুমকির অভিযোগ

হিরো আলমের বিরুদ্ধে থানায় অর্থ আত্মসাৎ ও হত্যার হুমকির অভিযোগ দিয়েছেন রুবেল মুন্সি (২২) নামে এক তরুণ। শুক্রবার (৫ আগস্ট) হিরো আলম ও তার দুই সহযোগীকে অভিযুক্ত করে গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় এ লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। শনিবার রাতে (৬ আগস্ট) শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রুবেল মুন্সি কুমিল্লার মতলব উপজেলার বড়ইলদা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি এলাকার হাজী আব্দুছ ছাত্তারের বাড়ির ভাড়াটিয়া। 

অভিযুক্তরা হলেন বগুড়া সদর থানার রুলিয়া বাজার এলাকার আশরাফুল হোসাইন ওরফে হিরো আলম (৩৫), তার সহযোগী মো. লিমন (২৫) ও মো. শুভ (৩০)।

লিখিত অভিযোগে রুবেল মুন্সি উল্লেখ করেন, প্রায় ৫ মাস আগে হিরো আলমের মালিকানাধীন অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতাম। ২০২১ সালে আমার কাছ থেকে হিরো আলম ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। এছাড়া সাত মাসের বেতনের ৭০ হাজার টাকা হিরো আলমের কাছে জমা রাখি। পরে পাওনা ৯০ হাজার টাকা ফেরত চাইলে হিরো আলম দেবো-দিচ্ছি বলে টালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে পাঁচ মাস আগে চাকরি ছেড়ে শ্রীপুরে ইয়ান ফুড প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিই। 

অভিযোগে আরও বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় দুই সহযোগীকে নিয়ে আমার বর্তমান কর্মস্থল ইয়ার ফুড কারখানার সামনে আসেন হিরো আলম। পরে আমাকে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে ফোন করে অফিস থেকে বের হতে বলেন। অফিস থেকে বের হলে হিরো আলমের দুই সহযোগী প্রাইভেটকারে তুলে আমাকে মেডিক্যাল মোড়ে নিয়ে যান। সেখানে অজ্ঞাত লোকদের সহযোগিতায় আমার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ নিয়ে নেন। সেইসঙ্গে জি-মেইল ও ফেসবুক আইডি হ্যাক করে কিছু তথ্য নিয়ে আমাকে রাত ৩টার দিকে ছেড়ে দেন তারা। এসব বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিলে এবং বেশি বাড়াবাড়ি করলে জানমালের ক্ষতি করার পাশাপাশি হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘হিরো আলমের বিরুদ্ধে রুবেল মুন্সি নামে এক তরুণ শুক্রবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশের একজন এসআইকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’