সেফ হোমের টয়লেট থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার 

গাজীপুরে মহিলা, শিশু ও কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র (সেফ হোম) থেকে বাক প্রতিবন্ধী এক তরুণীর (২১) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ আগস্ট) মহানগরীর বাসন থানার মোগরখাল এলাকার ওই কেন্দ্রের তৃতীয় তলার টয়লেট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই তরুণী শ্রীপুর থানার ধর্ষণ ঘটনার ভিকটিম। 

সেফ হোমের সুপার পারভিন আক্তার বলেন, কেন্দ্রের তৃতীয় তলার টয়লেটে একটি রডের সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশ দেখতে পান অন্য নিবাসীরা। তারা অফিসের লোকজনকে খবর দেন। খবর পেয়ে বাসন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে এবং তা ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।  তবে কেন ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি তিনি। 

ওই তরুণী কোনবাড়ি শিশু (বালিকা) উন্নয়ন হেফাজত কেন্দ্রে ছিলেন। সেখান থেকে তাকে চলতি বছরের ১ মার্চ এ হেফাজত কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়। শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার ভিকটিম ছিলেন ওই তরুণী। 

বাসন থানার ওসি মোহাম্মদ মালেক খসরু খান বলেন, ওই তরুণী গাজীপুরের শ্রীপুর থানার ধর্ষণ ঘটনার মামলার ভিকটিম। তিনি একজন বাক প্রতিবন্ধী, কথা বলতে পারতেন না। ইশারা-ইঙ্গিতে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতেন। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তার গলায় ফাঁস নেওয়ার আলামত ছিল। 

এদিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. জাকির হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।