নাটকীয় বিয়ের পর ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

নারায়ণগঞ্জে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মকবুল হোসেন (৫৫) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক তরুণীকে (৩৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃস্পতিবার (১১ আগস্ট) ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন।

মামলায় ফতুল্লা থানার হরিহর পাড়ার আমতলাস্থ মৃত আব্দুল মতিন মৃধার ছেলে মকবুল হোসেন, তার বোন হোসনা বেগমসহ (৪৫) আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের শুরুর দিকে ভুক্তভোগীর সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে মকবুল হোসেনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে প্রেম থেকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মকবুল। চলতি বছরের ২৩ মার্চ প্রেমিকাকে ফোন করে জানান, তিনি দেশে এসেছেন এবং চাঁদপুরে বোনের বাসায় আছেন। অসুস্থতার কথা জানিয়ে তিনি প্রেমিকাকে চাঁদপুর আসার অনুরোধ করেন। কথা রাখতে গিয়ে প্রেমিকা নরসিংদী থেকে চাঁদপুর চলে আসেন। সেখানে রাত ১১টার দিকে স্থানীয় হুজুর ডেকে প্রেমিকাকে বিয়ে করেন মকবুল। রাতে তারা বাসরও করেন। চাঁদপুর একদিন থাকার পর মকবুল ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ ঢালিপাড়ায় বড় ভাই মৃত আমিরের বাসায় প্রেমিকাকে নিয়ে যান। সেখানে কয়েক দিন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে অবস্থানের পর গত ৬ মার্চ প্রেমিকাকে নিজ বাড়ি ফিরে যেতে বলেন। পারিবারিকভাবে অনুষ্ঠান করে তাকে তুলে আনার আশ্বাস দেওয়া হয়।

এরপর বাড়ি ফিরে এলে টালবাহানা শুরু হয়। এক পর্যায়ে প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। গত ৩০ জুলাই তরুণী জানতে পারেন, মকবুল ঢালিপাড়াস্থ তার ভাইয়ের বাড়িতেই রয়েছে। পরে তিনি মকবুলের সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু এ সময় তিনি ভুক্তভোগীকে নিজের স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করেন। এ সময় তাকে কোমল পানীয়ের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে অসুস্থ্ অবস্থায় তাকে সড়ক থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় পথচারীরা। খবর পেয়ে ২ আগস্ট ভুক্তভোগীর ভাই ওই হাসপাতালে এসে তাকে নরসিংদী ফিরিয়ে নিয়ে যান।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফতুল্লা মডেল থানার এসআই গোলাম মোস্তফা জানান, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান আসামি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মকবুল একজন বিবাহিত ব্যাক্তি। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।