‘অল্প সময়ের মধ্যে টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ কার্যক্রম শেষ হবে’

সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘যারা ভ্যাকসিন নেননি, তারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা কার্যক্রম শেষ হবে। এরপর আর বুস্টার ডোজ নেওয়া সম্ভব হবে না।’

শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নবজাতকদের বিশেষায়িত সেবার জন্য স্ক্যানো ইউনিট উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি এখন ভালো আছে। কোভিডে মৃত্যুর হার শূন্যে ও আক্রান্তের হার চার শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। তবে এখনও অনেকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেননি। দ্বিতীয় ডোজ ৯০ লাখ মানুষ নেয়নি। এ ছাড়া বুস্টার ডোজ মাত্র চার কোটি মানুষ নিয়েছে। কেউ প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ না নিলে বুস্টার ডোজ পাবেন না।’

তিনি বলেন, ‘অপরিপক্ব ও নানা রোগে আক্রান্ত নবজাতকদের বিশেষায়িত সেবার জন্য স্ক্যানোতে রাখতে হয়। এই স্ক্যানোতে বিশেষায়িত সেবার ফলে নবজাতক সুস্থ হয়ে ওঠে। দেশে প্রতি হাজারে প্রায় ৩০ থেকে ৩২টি শিশু মারা যায়। এ সেবার ফলে নবজাতকের মৃত্যুর হার অনেক কমে যাবে। এসডিজি লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদেরকে শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে হবে। সেই ধারাবাহিকতায় সারা দেশে প্রায় ৫০টি হাসপাতালে এই বিশেষায়িত সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি জেলা হাসপাতালে স্ক্যানো ইউনিট চালু করা হবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা প্রদান পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ আগস্ট থেকে সিটি করপোরেশনগুলোতে টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশেই স্কুলগুলোতে শিশুদের টিকা দেওয়া হবে। নিবন্ধন ছাড়া শিশুকে টিকা দেওয়া যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বাড়ায় সারা দেশেই জনবলের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় নতুন জনবল কাঠামো তৈরি করে নিয়োগ দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কোভিডের মধ্যে ১৫ হাজার চিকিৎসক ও ২০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রয়োজন অনুযায়ী সব হাসপাতালে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।’

পরে হাসপাতালের মিলনায়তনে স্ক্যানো ইউনিট উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ ছাড়াও সেভ দ্য সিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভ্যান ম্যানেন, স্বাস্থ্য সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, সিভিল সার্জন মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান চৌধুরী, জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বাহাউদ্দিনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।